হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন করোনা সারিয়ে তুলতে ‘অক্ষম’

ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন মরণঘাতী করোনাভাইরাসের আক্রান্তদের সারিয়ে তুলতে কোনো ভূমিকা রাখে না। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এক গবেষণায় এ দাবি করা হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাজ্যে এই ওষুধ নিয়ে গবেষণা বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই গবেষণা আমলে নিয়েছে।

হাইড্রোক্লোরোকুইন ট্যাবলেট

হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন প্রথম আলোচনায় আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে। তিনি বলেছিলেন, করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হতে এই ওষুধ কাজ করবে। তার এমন বক্তব্যের পরই শুরু হয় নানা সমালোচনা। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি সেবন করে মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

বলা হচ্ছে, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ম্যালেরিয়ায় মতো মারাত্মক রোগ সারিয়ে তুলতে সক্ষম হলেও করোনাভাইরাসে ক্ষেত্রে কার্যকর নয়।

এমতাবস্থায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক বিষয়টি নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। এর অংশ হিসেবে তারা ১১ হাজার রোগীর মধ্যে এক হাজার ৫৪২ জনের ওপর হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগ করেছেন।

প্রতীকী ছবি

সেখানে তারা দেখতে পান, ম্যালেরিয়ায় প্রতিষেধক প্রয়োগে ২৮ দিনের মধ্যে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে যাদের সাধারণ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীর।

এর ওপর ভিত্তি করে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্টিন ল্যান্ডরে বলেন, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন করোনাভাইরাসের রোগীদের সারিয়ে তুলতে কার্যকর না।

হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে সম্প্রতি  বিখ্যাত মেডিকেল সাময়িকী দ্য ল্যানসেটও বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। গত সপ্তাহে এ বিষয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন তারা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছিলো, করোনাভাইরাসের সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহারে মৃত্যুহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সেইসঙ্গে রোগীদের মধ্যে হৃদপিণ্ডজনিত সমস্যাও দেখা দিয়েছে। ১৫ হাজার রোগীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে সেখানে দাবি করা হয়।