১০ টাকায় তিন স্তরের সার্জিক্যাল মাস্ক

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও চলছে করোনাভাইরাসের মহামারি। এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কারে সক্ষম হননি গবেষকরা। তাই আপাতত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। আর স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মাস্ক পরিধান। কিন্তু নিম্নমানের তথা অস্বাস্থ্যকর মাস্কে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এমনকি ভ্রাম্যমাণ আদালত অনেককে জরিমানাও করেছে।

১০ টাকায় উন্নতমানের মাস্ক নিয়ে এলো মিনিস্টার

ফলে মাস্ক কেনা নিয়ে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন যে, কোন ধরনের মাস্ক কিনলে তারা করোনার মতো ভয়ংকর ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবেন। জাতির এই ক্রান্তিকালে মানুষের সুরক্ষায় এগিয়ে এসেছে মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেড। তারা হাই কোয়ালিটির মেল্ট ব্লন সমৃদ্ধ ট্রিপল লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক দিচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। যা প্রায় ৯৯ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া রোধক ক্ষমতাসম্পন্ন। এটা করোনাভাইরাসসহ অন্যান্য রোগ-জীবাণু থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে দাবি করা হয়েছে।

জানা যায়, মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেড এই সার্জিক্যাল মাস্ক উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য সম্প্রতি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে অনুমতি পায়। এর পরই তারা মাস্কটির উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু করে। সাশ্রয়ী মূল্যের এই মাস্ক মিনিস্টারের যেকোনো বিক্রয়কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে নকল মাস্ক ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, মিনিস্টারের সার্জিক্যাল মাস্ক হাই কোয়ালিটি ও মেল্ট ব্লন সমৃদ্ধ ট্রিপল লেয়ারের। সাশ্রয়ী দামে মাস্ক বিক্রির জন্য মিনিস্টারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান (রাজ) মাত্র ১০ টাকায় মাস্ক সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন।

এফবিসিসিআইয়ের এ ডিরেক্টর বলেন, কোনো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নয় বরং মানবসেবার অংশ হিসেবে আমরা সুলভ মূল্যে এই মাস্ক পৌঁছে দেয়ার ব্রত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এই মাস্ক আমাদের নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে তৈরি হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা বাজারজাতও শুরু করেছি।