রেশম পোকা থেকে মরণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন জাপানের কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অধ্যাপক তাকাহিরু কুসাকাবে। তার তৈরি সেই ভ্যাকসিনটি ইনজেকশনের পাশাপাশি মুখ দিয়েও গ্রহণ করা যাবে।

silkworm photoরেশম পোকা

কোভিড-১৯ হলো এক ধরনের আরএনএ ভাইরাস। এটির সংক্রমণ ও বিস্তারের মৌলিক উপাদান একটি শক্ত খোলসের ভেতরে থাকে। যা দেখতে কদম ফুলের মতো এবং একে স্পাইক প্রোটিন বলা হয়। এটিই মানবদেহে ভাইরাসটিকে ঢোকার রাস্তা করে দেয়।

এক্ষেত্রে স্পাইক প্রোটিনের গঠনে এমন কিছু আনতে হবে যেন তা আর মানুষের শরীরে ঢুকতে না পারে। তার মানে হলো- ভ্যাকসিন তৈরি করতে হলে এটির বিরুদ্ধে করতে হবে, যেন স্পাইক প্রোটিনকে অচল করে দেয়া যায়। তাহলেই ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে মানুষ রক্ষা পেতে পারে।

জানা গেছে, পশ্চিম জাপানের ফুকুওকাতে অবস্থিত কিউশু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী একটি ফার্মে ৫০০ প্রজাতির প্রায় আড়াই লাখ রেশম পোকা আছে। তাদের শরীরেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এই ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে।

অধ্যাপক তাকাহিরু কুসাকাবে দীর্ঘদিন যাবত রেশম পোকা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি আগেও এই পোকাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন রোগের জীবন বৃত্তান্ত এবং প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম Alpha1-Anti Trypsin Deficiency এর জীবন বৃত্তান্ত এবং প্রতিষেধক।

professor takahiru kusakabeঅধ্যাপক তাকাহিরু কুসাকাবে

সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এ জন্য গত জুলাই মাস থেকেই তিনি এবং তার টিম রাতদিন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি জাপানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র নিক্কেই-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক তাকাহিরু বলেন, যে জিন থেকে করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন তৈরি হয়, সেটিকে রেশম পোকার শরীরে ঢুকানো হয়েছে। দেখা গেছে, মাত্র চার দিনের ব্যবধানে পোকার শরীরে স্পাইক প্রোটিন তৈরি হয়েছে। আর সেটিই পোকার শরীর থেকে আলাদা করে মানবদেহে ঢুকানো হবে।

'আবার রেশম পোকাকে সরাসরি খাদ্য হিসেবেও গ্রহণ করা যাবে। সেক্ষেত্রে পোকা থেকে ভ্যাকসিন আলাদা করার ব্যয়ভারও কমানো সম্ভব। পাশাপাশি শরীরে প্রোটিনের চাহিদা অনেকখানি পূরণ হবে।'

ভ্যাকসিন তৈরির এই প্রক্রিয়াটি স্বল্প খরচের এবং অত্যন্ত দ্রুত জানিয়ে তিনি বলেন, জিন রেশম পোকার শরীরে প্রবেশ করানো থেকে ভ্যাকসিন উৎপাদন পর্যন্ত সময় লাগে মাত্র ৪০ দিন। শিগগিরই এই ভ্যাকসিনকে প্রাণীর দেহে প্রবেশ করানো হবে। ২০২১ সাল নাগাদ এটি মানবদেহেও প্রবেশ করানো সম্ভব হতে পারে।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.