করোনাকালে আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। হাত জীবাণুমুক্ত থাকলে করোনার ঝুঁকি নব্বই শতাংশ কমে যায়। আর এ জন্য চাই শতভাগ খাঁটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কিন্তু করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকেই আমাদের দেশের বাজারে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ শুরু হয়। মূলত, একদল অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার লোভে আসলের মোড়কে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে ছেড়ে দিয়েছে।

hand sanitizer

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরোপুরি জীবাণু মুক্ত করার জন্য স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল থাকতে হবে ৬০ থেকে ৯৫ শতাংশ। অথচ নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল থাকছে খুবই কম। ফলে এসব হ্যান্ড স্যানিটাইজারে হাত জীবাণুমুক্ত হচ্ছে না। এতে করে করোনার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

কেউ যখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে ঘঁষে, তখন সে নিশ্চত হয় যে, তার হাত এখন জীবাণুমুক্ত। ফলে ওই হাতে খাওয়া-দাওয়া কিংবা কাউকে ধরতে দ্বিধা করে না। এখন ওই হ্যান্ড স্যানিটাইজার যদি নকল হয়- তাহলে কী অবস্থা হবে একটু ভাবুন!

তাই আপনার হ্যান্ড স্যানিটাইজারটি আসল না নকল পরীক্ষা করুন এভাবে-

১. একটি পাত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন। হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে তরুলটুকু শুকানোর চেষ্টা করুন। আসল হ্যান্ড স্যানিটাইজার হলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুকিয়ে যাবে। নকল হলে অ্যালকোহলের মাত্রা কম থাকার কারণে শুকাতে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে।

hand sanitizer 3

২. টিস্যু পেপারে কলম দিয়ে দাগ দিন। এবার দাগের ওপর কিছুটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছড়িয়ে দিন। যদি কলমের কালি এদিক-সেদিক ছড়িয়ে না পড়ে তাহলে বুঝতে হবে এটি খুবই শক্তিশালী জীবাণু ধ্বংসকারী হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

৩. অল্প পরিমান ময়দার ওপর পরিমাণ মত হ্যান্ড স্যানিটাইজার মাখুন। যদি ময়দা দলা না পাকায় তাহলে বুঝতে হবে এটি খাঁটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজারে অ্যালকোহলের মাত্রা কম থাকে, পানির পরিমাণ থাকে বেশি। ওই পানির কারণে ময়দা দলা পাকিয়ে যায়।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.