দাঁতে কালো দাগ?

পাহাড় সমান বিশাল সমস্যাকেও এক নিমিষেই উড়িয়ে দিতে পারে একটি সুন্দর-চমৎকার হাসি। হাসির আছে আশ্চর্য ক্ষমতা। তবে সুন্দর হাসির জন্য চাই সুন্দর দাঁত। দাঁতে যদি কালো দাগ পড়ে তাহলে যত চেষ্টাই করা হোক না কেনো, সুন্দর হাসি কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

ঝকঝকে সুন্দর দাঁতে নানা কারণে কালো দাগ পড়তে পারে। সঠিক ব্যবস্থা নিলে হারানো ঝলমলে দাঁত ফিরে পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নিই কী কী কারণে দাঁতে কালো দাগ হয়ে থাকে?

১. ধূমপান

সুন্দর হাসি নষ্ট হওয়ার একটি প্রধান কারণ হলো ধূমপান। ধূমপানের ফলে ঠোঁট এবং দাঁতে গাড় কালো থেকে হালকা কালো দাগ দেখা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের দাগ মুখের ক্যান্সার বা মাড়ির ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২. মেলানিন জমে থাকলে

মেলানিন হলো এক ধরনের উপাদান যা ত্বকের ওপর লেপ্টে থাকে এবং প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। দাঁতের ওপর যদি এই মেলানিনের পরিমাণ বেশি জমে যায় তাহলে দাঁতও কালো দেখাতে পারে। নির্দিষ্ট পরিমাণ মেলানিন জমে থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ মেলানিন জমে থাকলে এবং এর ফলে দাঁত যদি বেশি কালো দেখায় তবে তা বড় ধরনের কোনো রোগের নির্দেশ বহন করে।

৩. কয়েকটি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কিছু ওষুধ আছে যেগুলো খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াস্বরূপ দাঁতে কালো দাগ দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে অ্যান্টিডিপ্রেশন, ম্যালেরিয়া এবং অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ খুব দ্রুত দাঁতের ওপর কালো দাগ ফেলে দেয়। কোনো ওষুধ খাওয়ার পর যদি দাঁতে কালো দাগ দেখা দেয় বা বেড়ে যায় তাহলে অতিসত্বর চিকিৎসককে জানান এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

৪. দাঁতের বিশেষ রোগ

অ্যালসারেটিভ জিঙ্গিভাইটিস নামে দাঁতের এক ধরনের বিশেষ অসুখ হয়েছে, যার ফলে মাড়ির ব্যথা, জ্বর এবং মুখে দুর্গন্ধ সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগ দেখা দিলে দাঁত কালো হয়ে যেতে থাকে।

৫. অনিয়মিত দাঁত ব্রাশ

প্রতিদিন অন্তত একবার দাঁত ব্রাশ করা আবশ্যক। কেউ যদি এ নিয়ম মেনে না চলে বা অমান্য করে অথবা দাঁত ব্রাশের অনিয়ম করে তাহলে তার দাঁতে কালচে কিংবা হলদেটে ভাব দেখা দিতে পারে। এভাবেই ধীরে ধীরে দাঁত ও মাড়ি জটিল পরিস্থিতির দিকে মোড় নেয়।