আমরা যতই আধুনিক হচ্ছি, ততই বিশ্বজুড়ে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী নানা ধরনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে অনেকেই একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ একটি কাজ নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে ছুটি কিংবা নিজেকে বিশ্রামও দেন না। যা মানসিকভাবে ওই ব্যক্তিকে ক্রমশ অসুস্থ করে দিচ্ছে।

office work happyপ্রতীকী ছবি

এগুলো নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময় অনেক গবেষণা করেছেন। জানিয়েছেন, এসব অবস্থা থেকে মুক্ত থাকার নানা কৌশল। কর্মক্ষেত্রে কিভাবে নিজেকে ফিট রাখা যায়, সে সব নিয়েই গবেষণা করা হয়েছে। আজ বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত তেমনই কয়েকটি কৌশল সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।

=) মাল্টিটাস্কিং কমানো: বর্তমান যুগে অনেকেই একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। যা তাদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের সময়টুকু পর্যন্ত দেয় না। দিন এবং রাতের অধিকাংশই সময়ই তারা ব্যস্ত থাকেন। এতে করে পরিবার-বন্ধুবান্ধব কাউকেই ঠিকভাবে সময় দেয়া হয়ে উঠে না। ফলে এক সময় ওই ব্যক্তি একাকিত্বে ভোগেন এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কাজেও মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন। তাই কাজের সংখ্যা সীমিত করতে হবে।

=) ধ্যান করা: 'অনুশীলন ব্যক্তিকে নিখুঁত করে তোলে' এই উক্তিটি যেমন সত্য, তেমনই কাজে মনোযোগ বাড়ানোর অন্যতম উপায় হলো 'ধ্যান করা'। এটিও সত্য। নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায় যে, কোনো শিক্ষার্থী একদিন সর্বোচ্চ ২০ মিনিটের মতো ধ্যান করলে, সেই প্রভাবে টানা চারদিন ভালো পারফরম্যান্স দেখানো সম্ভব।

=) ব্যায়াম করা: হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহযোগী ক্লিনিকাল অধ্যাপক জন রেটির মতে, দৌড়, সাঁতার কাটা এবং ওজন উত্তোলনের মতো ভারী ব্যায়ামগুলো শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পাশাপাশি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যেরও প্রসারণ করে। যা মানব ব্রেইনের ক্ষমতা এবং ঘনত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

office work happy1প্রতীকী ছবি

=) কার্যতালিকা তৈরি করা: এই পদ্ধতিটি আপনাকে প্রথমে কোন কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে, তা অগ্রাধিকার দিতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি কোন কাজগুলো শেষ হয়েছে, সেটাও মনে করিয়ে দেবে। যা কাজে মনোযোগ বাড়াতে এবং চাপমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

=) কফি কিংবা চা পান: কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় শরীরে অলসতা ও ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে। এক্ষেত্রে মাঝারি মাত্রায় এক কাপ কফি কিংবা চা পান করতে পারেন। এগুলো মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা করে এবং ঘুম ভাবটাও চলে যায়।

=) কাজের মাঝে বিরতি: টানা কাজ করতে গেলে মানসিক সমস্যার পাশাপাশি শারীরিকভাবেও নানা অসুখ দেখা দিতে পারে। সেটা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হলে কাজের মাঝে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি দিতে হবে। এ সময় নিজেকে হাঁটাহাঁটিতে ব্যস্ত রাখা অথবা কলিগদের সঙ্গে আড্ডাও দেয়া যায়। তাহলে চাপমুক্ত থাকা যাবে।

=) পর্যাপ্ত ঘুম: একটি ব্যস্ত কাজের দিনের আগে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিতে হবে। চেষ্টা করতে হবে এই সময়টা যেন রাতে হয়। কারণ, রাতের ঘুম মন ও ব্রেইনকে সতেজ এবং শরীর-স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখে।

=) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকা: কাজের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মনোযোগ নষ্ট হবে না। কারণ, ইন্টারনেট মনোযোগ বিঘ্ন ঘটার অন্যতম কারণ।

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.