থাইরয়েডের সমস্যা একবার কারো শুরু হলে বেশ ভুগতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। এই সমস্যার উৎপত্তি মূলত দেহে হরমোনের তারতম্য থেকে। গলার কাছে থাকা ছোট্ট একটি গ্ল্যান্ডের নামই মূলত থাইরয়েড। আমাদের দেহের জন্য যেমন অতিপুষ্টি বা অপুষ্টি দুটোই ক্ষতিকর, তেমনি এই থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কাজ বেশি বা কম হলেও সমস্যা। কারণ এই গ্ল্যান্ডের কাজ কম-বেশি হলেও রোগটির সূত্রপাত হয়। খাবার-দাবারের মাধ্যমে এটিকে খানিকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

thyroidথাইরয়েডে সতর্কতা জরুরি

চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্য মতে, যাদের হাইপোথাইরয়েডিজম আছে তাদের শরীরে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড পরিমাণ মতো হরমোন ক্ষরণ করে না। এর ফলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয় যেমন- হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়া, বিপাক হার কমে ওজন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা ঠেকাতে খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম। আর কিছু কিছু খাবারের ওপর আরোপ করতে হবে নিয়ন্ত্রণ।

থাইরয়েডের সমস্যা থেকে বাঁচতে যেসব খাবারের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রসেসড ফুড, অর্থাৎ যেসব খাবার তৈরির পর সহজে নষ্ট হয় না। এসব খাবার শরীরের স্বাভাবিক বিপাক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। এতে ধীরে ধীরে শরীরে ফ্যাট বা চর্বি জমতে থাকে। আর এই ফ্যাট থেকেই শরীরে নানা সমস্যার উদ্ভব হতে থাকে।

thyroid expandখাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় থাইরয়েডের সমস্যা

থাইরয়েডের সমস্যা থেকে বাঁচতে যেসব খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে-

সয়াবিন বা সয়াবিনজাত খাবার: সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, সয়াবিন বা সয়াবিন জাত খাবার-দাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ ঠিকমতো কাজ না-ও করতে পারে। তাই সয়াবিন, সয়ার দুধ, টফুর মতো খাবার পরিমাপ মতো খাওয়াই ভাল।

প্যাকেটজাত খাবার: বাজারের যে সব খাবার প্যাকেটে ভরা হয়, সেগুলোতে স্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও তেল থাকে। তাই থাইরয়েডের রোগীদের এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। প্রসেস করার খাবারও এড়িয়ে চলা উচিত।

বাঁধাকপি-ফুলকপি: শীতের সবজি হিসেবে পরিচিত এ দুটি, তবে আজকাল শীতের বাইরেও অনেকটা সময় ধরে এ দুটি পাওয়া যায়। স্বাদেও অনন্য সহজপ্রাপ্য এ সবজি দুটি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কপির মতো যে কোনো খাবারেও সমস্যা হতে পারে থাইরয়েডের ওষুধে। থাইরয়েড থাকলে এসব খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে বলেন চিকিৎসকরা।

দুগ্ধজাত খাবার: চিকিৎসকদের মতে, শরীরে হরমোনের তারতম্য আরো বাড়িয়ে দেয় দুগ্ধজাত খাবার। তাই দুধ, মাখন, চিজের মতো দুগ্ধজাত খাবারগুলো যতটা পারা যায় এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।

মিষ্টি: থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে এমনিতেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চিনি তথা মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। উপায় না থাকলে লাল চিনি, গুড় বা মধু সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করা যায়।

কফি: কফির স্বাদের তুলনা হয় না, তবে এতে থাকা ক্যাফেইন এমনিতেই শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে। থাইরয়েড থাকলে সেই ক্ষতি আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে পরিমিত পরিমাণে কফি পান শরীরের কিছু উপকারও করে থাকে।

সূত্র: আনন্দবাজার

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.