সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তৃার ঘটার জন্য সবচেয়ে দায়ী করা হয় ডেল্টা বা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টকে। সেইসঙ্গে এটিকে অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর চেয়ে বেশি শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন ভয়ংকর ভ্যরিয়েন্ট ওমিক্রন আরো শক্তিশালী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওমিক্রন, ফাইল ছবি
এমতাবস্থায় যুক্তরাজ্যের পাবলিক হেলথ সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে বলা হলো- ডেল্টার কারণে যত মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তার চেয়ে ৫০-৭০ শতাংশ কম দেখা যাচ্ছে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে। এটি প্রমাণ করে যে, ডেল্টার চেয়ে কম শক্তিশালী ওমিক্রন।
এ ছাড়া ডেল্টার চেয়েও ওমিক্রনের সংক্রমণ তীব্র উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সে কারণে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেশি। তবে খুবই কম সংখ্যক নমুনার ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন দেয়ায় সতর্কবার্তা দিয়েছে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য বিভাগ।
ওমিক্রন ও ডাব্লিউএইচও
এই ফলাফলকে প্রাথমিক হিসেবে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, ওমিক্রন নিয়ে আরো গবেষণা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তরুণ বা কম বয়সীদের মধ্যে এটি ছড়ানোর প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। সে জন্য টিকার বুস্টার ডোজের ওপর জোর দেয়া দরকার।
গত ৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় B.1.1.529 নামে ওমিক্রন প্রথম শনাক্ত হয়, যা টিকা অকার্যকর করতে সক্ষম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছে, বিদ্যুৎ গতিতে শতাধিক দেশে ওমিক্রনের বিস্তার ঘটছে, বাকি দেশগুলোতেও শিগগিরই পৌঁছে যেতে পারে এটি। এই ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে নানা ধরনের বিধিনিষেধ জারির হিড়িক পড়ে গেছে দেশে দেশে।