আপনি পড়ছেন

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিজ্ঞাপনের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের ৬০ দশমিক ৩১ শতাংশ স্থানীয় পত্রিকা। আজ শনিবার অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (বিআইজেএন)।

newspaper imageকরোনায় বন্ধ হলো দেশের ৬০ শতাংশ স্থানীয় পত্রিকা- প্রতীকী ছবি

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিপাদ্য তুলে ধরে সংগঠনটির প্রধান সমন্বকারী আমীর খসরু বলেন, সম্প্রতি তারা স্থানীয় পত্রিকার ওপর করোনাভাইরাসের কী প্রভাব পড়েছে এ সংক্রান্ত একটি জরিপ পরিচালনা করেন। তারা ৩৪টি জেলার ৪৫৬টি স্থানীয় পত্রিকার ওপর এ জরিপ করেন। এতে দেখা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে ২৭৫টি স্থানীয় পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। যা দেশের ৬০ দশমিক ৩১ শতাংশ। এছাড়া অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ১৮টি এবং নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে ১৬৩টি পত্রিকা।

তিনি আরো বলেন, সংবাদপত্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে প্রধান কারণ বিজ্ঞাপন। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় পত্রিকাগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে বা অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে।

amir khosru bijn 1সংবাদ সম্মেলনে বিআইজেএনের প্রধান সমন্বকারী আমীর খসরু

স্থানীয় পত্রিকাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে দুর্নীতিবাজদের ভীতি কমে এসেছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, লোকাল পর্যায়ে ঘটা বেশিরভাগ ঘটনাই জাতীয় পত্রিকাগুলোতে স্থান পায় না। সেগুলো স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে মানুষ জানতে পারে এবং তথ্য প্রবাহ সচল থাকে। কিন্তু করোনার কারণে অনেক স্থানীয় পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন আর অনেক তথ্য উঠে আসছে না। মানুষও জানতে পারছে না।

এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, এমনিতেই সংবাদপত্রে স্বাধীনতা এখন অনেক কম। তার ওপর স্থানীয় পত্রিকাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তথ্য সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।