আপনি পড়ছেন

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট ও অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলার অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন আগামী ১০ ডিসেম্বর দাখিলের দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রোববার এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান।

shami kaiserশমী কায়সার

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পেশকার রাকিব চৌধুরী জানান, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মামলাটি অধিকতর তদন্ত করছে। আজ তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন নির্ধারিত থাকলেও তা পেশ করা হয়নি। শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে গত ২৪ অক্টোবর অভিযোগের ‘সত্যতা পাওয়া যায়নি’ মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব রহমান। ওই প্রতিবেদনের ওপর মামলার বাদী নুজহাতুল হাসান নারাজির আবেদন করলে শুনানি শেষে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।

somi kawsar bfujশমী কায়সারের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিএফইউজে ও ডিইউজে

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে শমী কায়সারের দুটি স্মার্টফোন খোয়া যায়। ওই অনুষ্ঠানে সাংবা‌দিকরা তার ফোন চু‌রি করেছে উল্লেখ করে গেট আটকে অর্ধশত সাংবা‌দিক ও ক্যামেরাম্যানকে তল্লাশির কথা বলেন। পরে মোবাইল দুটি টে‌লিভিশন ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে থাকা একজনের কাছে মোবাইল পাওয়া যায়।

সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে সম্বোধন করায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলাটি করেন মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান। সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন ও নোংরা আচরণ করার জন্য তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেছিল বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।