আপনি পড়ছেন

গতকাল রাত থেকে দেশে সকল বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। সরকারের একটি নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ঘটেছে এমন ঘটনা। সেই নির্দেশনা হলো- বিদেশি চ্যানেলগুলো তাদের মূল কনটেন্টের সাথে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবে না। যেহেতু বিজ্ঞাপন প্রচার ছাড়া সম্প্রচার সম্ভব নয়, তাই স্বাভাবিকভাবেই সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

foreign channelsদেশে সকল বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ

সরকারের এই নির্দেশনা অবশ্য হুট করে আসেনি। গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর করা হবে।

গত ২ সেপ্টেম্বর কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, আকাশ ডিটিএইচ, অ্যাটকো, বিদেশি চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটর এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

dr hasan mahmud info ministerতথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

এরপর কেবল অপারেটরদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞাপন ছাড়া বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার সম্ভব নয়। ফলে সম্প্রচার বন্ধ রাখা ছাড়া এই মুহূর্তে অন্য কোনো পথ খোলা নেই।

মূলত বাংলাদেশের আইনে বলা আছে, দেশে বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করতে হলে কোনো বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ নেই। এই আইন বাস্তবায়নের জন্য আগেও কয়েক দফা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে সেটা সম্ভব হয়নি। এ দফায় কড়াকড়িভাবে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। এজন্য প্রয়োজনে সারাদেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।

এমন সিদ্ধান্তের পেছনে মূলত কাজ করেছে সরকারের রাজস্ব হারানোর বিষয়টি। বিদেশি চ্যানেলে যেসব বিজ্ঞাপন প্রচার হয় সেখান থেকে কোনো রাজস্ব পায় না সরকার।

আরও একটি বড় বিষয় হলো- বিদেশি চ্যানেলগুলো জনপ্রিয়তার দিক থেকে যখন দেশি চ্যানেলকে ছাড়িয়ে যায়, তখন দেশি বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের পণ্যের প্রসারের জন্য বিদেশি চ্যানেলে দিকে ঝুঁকে পড়ে। যাতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশি চ্যানেলগুলো।