আপনি পড়ছেন

ইসলাম ধর্মে রমজান একটি পবিত্র মাস। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসেও আফগানিস্তানে কয়েক ডজন হামলা ও বিস্ফোরণ আঘাত হেনেছে। এতে শতাধিক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। যারা মসজিদে দ্বীন শিখতে এসেছিলেন তাদের রক্তে মসজিদ ও স্কুল রঞ্জিত হয়েছে। কাবুল টাইমস।

afghan national army guard checkpointআফগানিস্তানের একটি চেকপোস্টে দেশটির ন্যাশনাল বাহিনীর সদস্য, ফাইল ছবি

এই সপ্তাহে কাবুল, মাজার-ই-শরীফ, কুন্দোজ এবং হেরাত প্রদেশে একের পর এক হামলা হয়েছে। শত শত শিশু, মেয়ে, ছেলে ও বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানকে একটি একক কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব শাসন করছে। ১৯৭৮ সাল থেকে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন সমর্থিত আফগান কমিউনিস্ট গোষ্ঠী একটি অভ্যুত্থান পরিচালনা করেছিল। তখন দেশটি একটি সমন্বিত কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়াই ছিল।

তারপর থেকে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আফগানিস্তানে কখনোই ঐক্যবদ্ধ সরকার ছিল না। মূলত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তি সমর্থিত কিছু দল-উপদলের মধ্যে ক্ষমতার কাড়াকাড়ি চলছিল। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর বর্বরতা শেষ হয়েছে। দেশটি তার সত্যিকারের ছেলেদের হাতে ফিরে এসেছে। নিরাপত্তা ও আস্থার অভূতপূর্ব মাত্রায় বেড়েছে সারাদেশে।

২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে মার্কিন ও ন্যাটোর দখলদারিত্বের সময়, দেশজুড়ে সংঘাত, বোমাবর্ষণ, বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি কাবুলের মতো বড় শহরগুলোও নিরাপদ ছিল না। দেশটিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সংঘাতের ফলে গড়ে দৈনিক ৩০০ আফগান নিহত হয়। মার্কিন ব্যাকড সরকারের অধীনে আফগানরা মূলত বন্দি জীবনে ছিল।

কিছু পর্যবেক্ষক দাবি করছেন, আফগানিস্তানে মার্কিন/ন্যাটো ব্যাকড গোয়েন্দা বলয়গুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটি পরিত্যাগ করেছিল এবং পুতুল আফগান সরকার ভেঙে পড়েছিল। সাম্প্রতিক ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণগুলো সন্দেহ জাগায়, আফগানিস্তানে লুকিয়ে থাক বিদেশি গোয়েন্দা চক্র এখনও কার্যক্রম থামায়নি। তারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের নেটওয়ার্ক শক্ত করেছে। এমনকি বিদেশে তাদের কমান্ড সেন্টারগুলোর সাথে লিঙ্ক করতে সক্ষম হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগানিস্তানের প্রতিবেশীরা কখনোই দেশটি ছাড়বে না। তাদের স্বার্থে আফগানে হস্তক্ষেপ করেই যাবে। সাম্রাজ্যবাদের ভাড়াটে সেলগুলো আফগানিস্তানকে অনিরাপদ করতে এবং আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতকে (আইইএ) অসম্মান করতেই থাকবে। আফগানিস্তানের নতুন বাস্তবতার বিরুদ্ধে শত্রু সেলগুলো দ্রুত পুনর্গঠিত হচ্ছে।

লেখক: নাসরুল্লাহ হাকপাল, কাবুল টাইমস

প্রিয় পাঠক, ভিন্নমতে প্রকাশিত লেখার বিষয়বস্তু, রচনারীতি ও ভাবনার দায় একান্ত লেখকের। এ বিষয়ে টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপার কোনোভাবে দায়বদ্ধ নয়। ধন্যবাদ।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর