আপনি পড়ছেন

আরবি ইতিকাফ শব্দের অর্থ আটকে থাকা। নিজেকে বন্দি রাখা। বেঁধে রাখা। অবাধ্য নফসকে বাধ্য করার জন্য আল্লাহর ঘর তথা মসজিদে নিজেকে বেঁধে রাখার নামই ইতিকাফ। যদিও শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ হল একুশ রমজান থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করা। কিন্তু সুফিদের পরিভাষায় ইতিকাফ হলো জীবনভর নফসকে আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে আটকে রাখা।

ramadan theme

ইতিকাফ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মসজিদ থেকে বের হলে ইতিকাফ ছুঁটে যায়। তাই যেসব কারণে মসজিদ থেকে বেরোলেও ইতিকাফ ভাঙবে না, সেগুলো জেনে নিন এই লেখা থেকে।

১. প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের জন্য মসজিদের বাইরে গেলে ইতিকাফ ভাঙবে না। ফকিহরা গোসলের জন্য মসজিদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।

২. মসজিদে খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা না থাকলে বাড়ি গিয়ে খেয়ে আসা যাবে। এতে ইতিকাফের কোনো ক্ষতি হবে না।

৩. যেখানে ইতিকাফ করেছেন, ওই মসজিদে যদি জুমার নামাজ না হয়, তাহলে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য অন্য মসজিদে যাওয়া যাবে। একইভাবে, ওয়াক্তিয়া নামাজের জামাতে শরিক হওয়ার জন্যও অন্য মসজিদে যাওয়া যাবে

৪. বাসায় বাজার করার মানুষ না থাকলে ইতিকাফকারী বাজার এবং অন্যান্য কেনাকাটার জন্য মসজিদ থেকে বের হতে পারবেন।

৫. কোনো কোনো ফকিহ এটাও বলেছেন, জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসক রোগী দেখার জন্য বাইরে যেতে পারবেন।

৬. বিপন্ন ও দূর্ঘটনায় আক্রান্ত মানুষকে সাহায্যের জন্য মসজিদ থেকে বের হলে ফকিহদের একদলের মতে ইতিকাফ নষ্ট হবে না।

এ বিষয়ে সব বিশেষজ্ঞই একমত, জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়ার পর ইতিকাফকারী যদি খোশগল্পে মেতে থাকে, কিংবা অপ্রয়োজনীয় কোনো কাজে সময় ব্যয় করে, তবে তার ইতিকাফ ভেঙে যাবে। তাই ইতিকাফ অবস্থায় অপ্রয়োজনীয় সব ধরনের কাজ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।

মাওলা ইউসুফ ইসলাহির আসান ফেকাহ ২য় খন্ড অবলম্বনে।

লেখক: কবি ও গবেষক।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর