আপনি পড়ছেন

আল্লাহ তায়ালা নামাজের সঙ্গে জাকাতেরও নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর তোমরা নামাজ কায়েম কর এবং জাকাত দাও।’ সুরা বাকারাহ, ৪৩। রাসুল (সা.) বলেছেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি। এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল, নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, জাকাত আদায় করা, হজ্জ করা, ও রমজান মাসের রোজা রাখা। মুত্তাফাকুন আলাইহি।

zakat header 6001

জাকাতের বিধান প্রবর্তণের মূল উদ্দেশ্য হল ধনীদের সম্পদ পবিত্র করা এবং সমাজের দারিদ্রতা দূর করে সমৃদ্ধ জাতি গঠন করা। রাসুল (সা.) এবং খোলাফয়ে রাশেদিনের খেলাফতকাল পর্যালোচনা করলে বুঝা যায় জাকাতের মাধ্যমে কিভাবে দারিদ্রতা দূর হয়েছে।

ইসলামের পঞ্চম খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ) এর সময় অর্থনৈতিক উন্নতি এবং সমৃদ্ধি এত বেশি ছিল যে, মানুষ জাকাতের সম্পদ নিয়ে পথে পথে ঘুরতো কিন্তু জাকাত গ্রহীতা পেত না। চিন্তার বিষয় হলো- স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা কেন জাকাতের কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছি না? এর একমাত্র কারণ হলো কোরআন যেভাবে জাকাত দিতে বলেছে আমরা সেভাবে জাকাত দিচ্ছি না।

আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে জাকাত দেয়া হয় শাড়ি-লুঙ্গি আর দুই টাকা পাঁচ টাকা দিয়ে। যে জ্ঞানপাপীরা এ নিয়ম চালু করেছে তারা কখনোই চায়নি আমাদের দেশও জাকাতের সুফল লাভ করুক। এ দেশ থেকে মুছে যাক দরিদ্রতা নামক শব্দটি।

কোরআনের বিধান হলো প্রাপ্য ব্যক্তিকে এমনভাবে জাকাত দিতে হবে যেন তাকে আর জাকাত নিতে না হয়। অথচ আমাদের দেশের মাদ্রসাগুলোতে ফতোয়া পড়ানো হয়- কোন ব্যক্তিকে এত পরিমাণ জাকাত দেয়া যাবে না যাতে ওই ব্যক্তি নিসাবের মালিক হয়ে যায়।

কোরআন জাকাতের বিধান প্রবর্তন করেছে সমাজ থেকে দরিদ্রতা হটানোর জন্য।

আপনারা বেশি মানুষকে জাকাত না দিয়ে অল্প মানুষকে সাবলম্বী করে দিন। প্রয়োজনে কয়েকজন মিলে একজনকে সাবলম্বী করুন। আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা জাকাতের নামে দরিদ্রদের সঙ্গে পরিহাস করবেন না।

এই যে প্রতি বছর জাকাতের শাড়ি আনতে গিয়ে মানুষ পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে নিহত হয় এর দায় কে নেবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে জাকাতের কাঙ্খিত সাফল্য অর্জনের তাওফিক দিন। আমিন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর