শেষ দশকে কাশ্মিরের মসজিদে মুসল্লির ঢল
- Details
- by আমিনুল ইসলাম হুসাইনি
পৃথিবীর নানা প্রান্তের মুসলমানরা নানাভাবে রমজান উদযাপন করে। তেমনই কিছু নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে ভূস্বর্গখ্যাত কাশ্মিরের। রমজানে সাহরির সময় ঢোল পিটিয়ে এলাকাবাসীকে জাগিয়ে দেওয়া কাশ্মিরের শত বছরের ঐতিহ্য। সাহরির সময় এলাকার গলিতে গলিতে গিয়ে ঢোলের আওয়াজে জাগিয়ে তোলা হয় রোজাদারদের। রমজান শেষে এলাকাবাসী যার যার সাধ্যমতো তাদের চাল, আটা ও নগদ অর্থ প্রদান করে।
রমজানে কাশ্মিরি মুসলিমরা ইফতারিতে বিশেষ কিছু খাবারের আয়োজন করে। যার মধ্যে রিশতাহ, গুশতাব, কাশ্মিরি কাবাব বিখ্যাত। রমজানে কাশ্মিরের প্রায় সব ঘরে তৈরি হয় খাবারগুলো। রিশতাহ হলো গরু ও ভেড়ার গোশত দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার। গুশতাব তৈরি হয় ভেড়ার গোশত দিয়ে।
রাতে তারাবির নামাজে মসজিদের ওপরের মাইকগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে তারাবির সময় কোরআন তিলাওয়াতের ধ্বনিতে মুখরিত হয় কাশ্মির উপত্যকা। তারাবির নামাজে কিশোর ও যুবকদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। তারাবির পর কাশ্মিরের ঘরে ঘরে আয়োজন হয় ‘নমকিন’ চায়ের। বিশেষ এক ধরনের চা পাতা, দুধ ও লবণ দিয়ে তৈরি হয় নমকিন চা। চার থেকে পাঁচ পেয়ালা নমকিন চা পান করে কাশ্মিরিরা।
রমজানের শেষ দশকের প্রতিটি বিজোড় রাতকেই শবেকদর মনে করে কাশ্মিরি মুসলিমরা। এ সময় তারা সারা রাত মসজিদে ইবাদত-বন্দেগি করে। ঘুম থেকে বাঁচার জন্য সেসব রাতে ফ্লাক্স ভর্তি কাহওয়াহ ও কুলচা নিয়ে মসজিদে হাজির হয়। কাহওয়াহ হলো জাফরান মিশ্রিত এক ধরনের পানীয় আর কুলচা হচ্ছে লবণাক্ত এক ধরনের বিস্কুট।
সারা রাত নামাজ এবং কোরআন তেলাওয়াতে কাটিয়ে দেয় তারা। শেষ দশকে কাশ্মিরিদের মধ্যে ইতিকাফ করার প্রবণতা বেড়ে যায়। শাওয়ালের চাঁদ তাদের মাঝে ঈদের আনন্দ নিয়ে আসে।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর