আপনি পড়ছেন

ইসলামের পাঁচ খুঁটির অন্যতম খুঁটি হলো যাকাত। পবিত্র কোরআনে সালাতের সঙ্গে যাকাতের কথাও বলেছেন আল্লাহ তায়ালা। এ থেকে বোঝা যায়, সালাতভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা ততক্ষণ পর্যন্ত গড়ে উঠবে না যতক্ষণ না যাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

zakat maal

যাকাতের নির্ধারিত খাত আছে। এর বাইরের কাউকে যাকাত দেওয়া যাবে না। ইসলামি শরিয়ত মতে, যাকাতের অর্থ যাদের দেওয়া যাবে না তাদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা উল্লেখ করা হলো।

১. অমুসলিম

একদল বিশেষজ্ঞের মতে, অমুসলিম-কাফেরকে যাকাত দেওয়া জায়েজ নেই। আরেকদল আলেম বলেন, পাপাচারী মুসলিম ব্যক্তিকেও যাকাত দেওয়া যায়েজ নেই। তবে ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন, যাকাতের ব্যাপারে এ ধরনের কোনো শর্তারোপ পবিত্র কোরআন থেকে প্রমাণিত নয়। তাই নিঃস্ব যে কোনো ব্যক্তিকেই যাকাতের অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করা যেতে পারে।

২. নিসবা পরিমাণ সম্পদের মালিক ও তার সন্তানদের

সব বিশেষজ্ঞ একমত, নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক এমন ব্যক্তিকে যাকাতের অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করা জায়েজ নেই। এবং তার নাবালক সন্তানদেরও যাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে না। এমন ব্যক্তির যদি অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে ঋণ, করজে হাসানাহ কিংবা সাধারণ দান-খয়রাত করে তার পাশে দাঁড়ানো বিত্তবানদের দায়িত্ব।

zakat header 6001 1

৩. হাশিম বংশের লোকজন

হাশিম বংশ তথা নবীজি (সা.) এর বংশের লোকজনকে যাকাতের অর্থ দেওয়া যায়েজ নেই। নবীজি (সা.) নিজ বংশের লোকদের জন্য যাকাতের অর্থ ভোগ করা হারাম করেছেন। এটা নবীবংশের মহান মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে।

৪. নিজের ঊর্ধ্বতন ও অধঃস্তন স্বজনদের

আপন বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি এভাবে ঊর্ধ্বতন স্বজন এবং নিজের ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি এভাবে অধঃস্তন প্রিয়জনদের যাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে না। সামর্থ্যবানরা অসহায় আত্বীয়দের পাশে সবসময় দাঁড়াবে, এ জন্য বাধ্যতামূলক দান থেকে এদের আলাদা রেখেছে শরিয়ত। একইভাবে স্বামী-স্ত্রী একজন আরেকজনকে যাকাত দিতে পারবে না।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর