জানুয়ারি থেকে লাখো ফোনে চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ

আপনি হয়তো হোয়াটসঅ্যাপ পছন্দ নাও করতে পারেন। তাই বলে এর গুরুত্ব কিন্তু অস্বীকার করতে পারবেন না। কারণ বর্তমান বিশ্বে বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এই হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বের কোটি কোটি ব্যবহারকারী স্মার্টফোন কিংবা ট্যাবে এই অ্যাপসটি ব্যবহার করেন। যা এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন সমর্থন করে।

জানুয়ারি থেকে লাখো ফোনে চলবে না হোয়াটসঅ্যাপ

পরিসংখ্যানেও এর গুরুত্ব বোঝা যায়। বর্তমান বিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন ২০০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং বাজারে এখন হোয়াটসঅ্যাপের দখলে ৪৪ শতাংশ। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ কতটা গুরুত্বপূর্ণ!

তবে দুঃসংবাদ হলো- আগামীকাল অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে অনেক স্মার্টফোনে আর চলবে না এই জনপ্রিয় অ্যাপ। এদিন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কাজ করা বন্ধ করে দেবে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মের বেশ কিছু ফোনে।

ফেসবুক মেসেঞ্জার

এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট গিজচায়না। এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস সংস্করণের ফোন ব্যবহারকারীরাই শুধু এই ‘সমস্যার’ সম্মুখীন হবেন না। বরং যাদের স্মার্টফোনে অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ ৪.০.৩-এর নিচে এবং আইওএস ৯-এর নিচে অপারেটিং সিস্টেম আছে যাদের আইফোনে, তারাও আর এই গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না।

জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপের সংযোগ পেতে হলে স্মার্টফোন হালনাগাদ করতে হবে অথবা থাকতে হবে অ্যান্ড্রয়েডের হালনাগাদ সংস্করণ। কিংবা কিনতে হবে নতুন কোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস। নতুন আইওএস সংস্করণ সমর্থন করবে না আইফোন ৪ বা এর আগের সংস্করণগুলোতেও।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি নতুন কিছু ফিচার যুক্ত করছে ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ। এর মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব ও ডেস্কটপ বিটা অ্যাপে ভয়েস ও ভিডিও কল সেবা চালু হচ্ছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সাল থেকেই অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে এ সুবিধা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকের ক্ষেত্রেও গত বছর এমন ঘটনা ঘটেছিল। ফেসবুক তাদের সমর্থন আইওএস ৮ ও অ্যান্ড্রয়েড ২.৩.৭ সংস্করণে বন্ধ করে দিয়েছিল। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং বাজারের ৩৫ শতাংশ দখল নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফেসবুক মেসেঞ্জার।