মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী রকেট। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ফ্যালকন হেভি নামের এই রকেট উৎক্ষেপণের পর আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে ব্যাপক বেগের মহাকাশ যাত্রা করে।

Falcon Heavy usa

রকেট প্রকল্পটি মার্কিন এক ব্যবসায়ীর উদ্যোগে হওয়ায় এর সফলতা নিয়ে নানা ধরণের শঙ্কা চাউর হচ্ছিল। কিন্তু এটি সফলভাবে উৎক্ষেপনের সময় ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে উচ্ছ্বসিত দর্শকরা হর্ষধ্বনিতে স্বাগত জানাচ্ছিলো।

পরীক্ষামূলক এই অত্যাধুনিক রকেট তৈরি করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে সফল ও মেধাবী উদ্যোক্তাদের অন্যতম ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেস এক্স। তাদের দাবি, এটি যেকোনো মডেলের রকেটের দ্বিগুণ ভার বহন করতে সক্ষম।

উদ্যোক্তারা জানান, ফ্যালকন হেভি রকেট ৬৪ টন ওজন বহন করতে পারবে এবং পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছাতে সক্ষম। তবে এই যাত্রায় রকেটটির কোন গন্তব্য নেই।

তবে পরীক্ষামূলক এই মহাকাশ মিশনে রকেটটিতে ব্যবহৃত একটি পুরনো স্পোর্টস কারে ম্যানিকিন বসিয়ে তুলে দেয়া হয়েছে। এর ভেতরে ডেভিড বাউয়ির গান বাজছিল। ফ্যালকন হেভি উৎক্ষেপনের সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে, এই পদক্ষেপ মহাকাশ যাত্রায় এক নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রকেটটি শক্তিশালী হলেও এর খরচ দ্বিতীয় শক্তিশালী রকেটের তিন ভাগের একভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে। এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ। এর ফলে ব্যাক্তিমালিনাধীন কোম্পানিটি আকারে বড় এবং অধিক সংখ্যায় স্যাটেলাইট মহাকাশে পৌঁছাতে পারবে।

ফ্যালকন হেভি রকেটের উৎক্ষেপণ দেখার পর অনুভূতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নভোচারী কমান্ডার লিরয় চাও বলেন, তার কাছে এ দিনটি মহা উত্তেজনার দিন। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক স্পেস সেন্টার ঘুরে এসেছেন।

নভোচারী কমান্ডার লিরয় চাও মনে করেন, অদূর ভবিষ্যতে মহাকাশে অনুসন্ধান ও গবেষণার ক্ষেত্রে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেস এক্সের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.