চাঁদের অজানা অংশে ভারতের যাত্রা

আগেরবারের ধাক্কা সামলে অবশেষে চাঁদের পথে পাড়ি জমালো ভারতের চন্দ্রযান-২। সোমবার স্থানীয় সময় ২টা ৪৩ মিনিটে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা সতীশ ধওয়ন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেয় চন্দ্রযানটি।

জানা যায়, জিএসএলভি মার্ক থ্রি রকেটে চেপে চন্দ্রযানটি চাঁদের পথে উড়ে যায়। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযানটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পাড়ি জামাবে। এর আগে বিশ্বের কোন দেশ চাঁদের এই অংশটিতে অভিযান চালায়নি।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো থেকে জানা যায়, এই চন্দ্রাভিযানকে ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই শ্রীহরিকোটাসহ সারাদেশে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বইছিলো। বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি অনেকেই রকেট উৎক্ষেপণ লাইভ দেখার জন্য টিভি পর্দায় চোখ রাখছিলেন।

গত ১৪ জুলাই রোববার নির্ধারিত সময়ের ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায় উপৎক্ষেপণের শেষ মুহূর্তে এসে থেমে গিয়েছিলো  চন্দ্রাভিযান। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানান, যে রকেটটিতে করে চন্দ্রযানটি পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল, সেটি থেকে জ্বালানি লিক করায় অভিযান স্থগিত করা হয়।

জানা যায়, ভারতেই তৈরি করা হয়েছে চন্দ্রযান-২। ৩.৮ টন ওজনের স্যাটেলাইটটির ক্যাপসুলে রয়েছে মূলত তিনটি অংশ। অর্বিটার, রোভার ও ল্যান্ডার। অর্বিটারটি চাঁদের ওপরের অংশ এবং সেখানে থাকা বিভিন্ন খনিজের ছবি তুলবে ও ম্যাপিং করবে। ল্যান্ডার অংশের ওজন ১ হাজার ৪৭১ কিলোগ্রাম। চাঁদের ভূমিকম্প এবং তাপমাত্রা সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ করবে এই ল্যান্ডার।

পাশাপাশি প্রজ্ঞান নামের ২৭ কিলোগ্রামের ছয় চাকার চলমান যানের মাধ্যমে চাঁদের মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে পর্যবেক্ষণ চালাবে প্রজ্ঞান। ১৪ দিন ধরে চাঁদের আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সফর করবে এই রোভার। এছাড়া চন্দ্রযান-২-এর এই অভিযানে মোট খরচ প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা।