ডায়নোসর যুগের কথা সকলেই শুনেছেন নিশ্চয়ই। বিজ্ঞানীরা বলেন, লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে ধাক্কা দিয়েছিল বিশালাকার এক গ্রহাণু। যার ধাক্কায় ধ্বংসলীলা হয়েছিল পৃথিবীতে।গবেষকরা বলছেন, সেই গ্রহাণুর ধাক্কায় বিলুপ্ত হয় বিশ্বের একাধিক প্রজাতি। এমনকি হারিয়ে যায় মহাশক্তিধর ডায়নোসর। সম্প্রতি নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডায়নোসর যুগের বড় একটা গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। 

asteroid towards earth

তারা বলছেন, দৈত্যাকার এই গ্রহাণুটি বর্তমানে সূর্যের চারপাশেই ঘোরাফেরা করছে। কয়েক বছরের মধ্যে পৃথিবীর একেবারে কাছে চলে আসবে সেটি। এমনকি ২০২৭ সালের মধ্যেই পৃথিবীর একেবারে কাছাকাছি চলে আসবে গ্রহাণুটি।

বলা হচ্ছে, এই গ্রহাণুটি এভারেস্ট পর্বতের চাইতেও বিশাল। যার গতি ঘণ্টায় ৫২ হাজার কিলোমিটার। নাসার গ্রহাণু গবেষকরা বিধ্বংসী গ্রহাণুটির নাম দিয়েছেন ৪৯৫৩(‌১৯৯০ এমইউ)‌। এটির ব্যাস ছয় মাইল।

গবেষকরা বলছেন, ২০২৭–এর ৬ জুন পৃথিবীর সবচাইতে কাছে আসতে পারে গ্রহাণুটি‌। ওই দিন পৃথিবী থেকে গ্রহাণুটির দূরত্ব হবে মাত্র ৪.৬১ মিলিয়ন কিলোমিটার। যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অনেক কম।

বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, মহাশূন্যে মাধ্যাকর্ষণ গহ্বর বলা হয় যেই জায়গাটিকে যেখানে কোনো মহাজাগতিক বস্তু তার নিকটবর্তী গ্রহের মধ্যাকর্ষণের টানে প্রভাবিত হয়। ফলে ৪৯৫৩(‌১৯৯০ এমইউ)‌ যদি এই মাধ্যাকর্ষণ গহ্বরের ওপর দিয়ে যায় তাহলে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।

নাসার আগে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আয়ান ম্যাকডোনাল্ড পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণুর সংঘর্ষের ফলে ভয়ানক বিপর্যয় হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

এদিকে, বিধ্বংসী পরিস্থিতি এড়াতে প্রতিরক্ষা যন্ত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে নাসা। তৈরি হচ্ছে বিশালকার মহাকাশযান, যা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা যেকোনো গ্রহাণুকে ধাক্কা মেরে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হবে।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.