মশার সংক্রমণ দিনকে দিন বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হচ্ছে। ঢাকা, কলকাতার পর এবার ক্যালিফোর্নিয়া, সান ফ্রান্সিসকোসহ আমেরিকার বেশ কিছু বড় শহরের মানুষ মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে রীতিমত স্যাটেলাইট নিয়ে মাঠে নামছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা!

nasa sattalite mosaমশা নিধনে স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে নাসা!

এ কাজে নাসার সঙ্গে কাজ করবে দেশটির বিভিন্ন সংস্থার ল্যাবরেটরি ও অসংখ্য ছোট ছোট দল। স্যাটেলাইটের পাশাপাশি তাদের কাছে থাকবে ক্যামেরা, গ্রাফ, ম্যাপিংয়ের ব্যবস্থা, ট্র্যাপিংয়ের ব্যবস্থা এবং তথ্য যাচাই ও জমা করার জন্য নানা ধরনের যন্ত্রপাতি।

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মশার প্রজনন স্থানগুলো খুঁজবে নাসা। সেগুলোর চিত্র পৌঁছে যাবে পতঙ্গবিদ, বিজ্ঞানীসহ টিমের অন্য সদস্যদের কাছে। তারা সেই স্থানে গিয়ে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করবে। আদৌ কোনো জীবানু আছে কিনা, কিংবা রোগ ছড়ানোর ক্ষমতা আছে কিনা, সেগুলো খুঁজে বের করা হবে। এরপর মানচিত্র তৈরি করাসহ ছবিও তুলে রাখা হবে। গবেষণার কাজে সাহায্য করবে বিভিন্ন সংস্থার ল্যাবরেটরি। গবেষণার ফলাফল জমা হবে দলীয় প্রধানের কাছে। সেগুলো পরবর্তীতে নাসার ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে দেয়া হবে। সেখান থেকে তথ্য দেখে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মশা নিধনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিবে।

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসনের (সিডিসি) তথ্য অনুয়ায়ী, গত কয়েক দশক ধরে গ্রীষ্মকালে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলজুড়ে মশার উৎপাত বেড়েছে। ২০০৪ সালে মশার প্রাদুর্ভাব যত ছিল, ২০১৬ সালে এসে সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ১০গুন।

প্রসঙ্গত, মশা নিধনে স্যাটেলাইটের ব্যবহার এবারই প্রথম নয়। আরো ৫ বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিপুল সাফল্য পেয়েছিল তারা। সেই সাফল্যকেই এবার গোটা আমেরিকায় ছড়িয়ে দিচ্ছে নাসা।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.