সূর্যগ্রহণ চলাকালে যা করা যাবে এবং যা করা যাবে না

অগ্নিবলয়ের মতো বিরল সূর্যগ্রহণ বা রিং অব ফায়ার’ শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায়। দুপুর ২টা ৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড পর্যন্ত দেখা যাবে দীর্ঘ এ সূর্যগ্রহণ। ১৭২ বছর পর আজ সকাল ৯টা ৪ মিনিট থেকে এ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ঢাকার আকাশেও। তাই জেনে নিন সূর্যগ্রহণ চলাকালে যা যা করা যাবে, যা যা করা যাবে না।

যেকোনো সূর্যগ্রহণের সময় কিছু কিছু ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার দেয়া পরামর্শগুলো এখানে তুলে ধরা হলো:

১. খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখলে (কয়েক সেকেন্ড হলেও) রেটিনার ওপর প্রভাব ফেলে। এর ফলে একটা চোখের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে পারে।

২. পেরিস্কোপ, টেলিস্কোপ, সানগ্লাস বা দূরবীন বা অন্য কিছুর সাহায্যে সূর্যগ্রহণ দেখার সময়ও সরাসরি সূর্যের দিকে তাকানো উচিত নয়।

৩. সূর্যগ্রহণের সময় এর অত্যন্ত সংবেদনশীল রশ্মি থাকায় চোখে এর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সানগ্লাস বা ঘষা কাঁচ দিয়েও এটি দেখা নিরাপদ নয়।

৪. সূর্যগ্রহণের সময় খালি চোখে দেখতে এক্লিপস ব্লাইন্ডনেস বা সোলার রেটিনোপ্যাথি হতে পারে।

৫. পূর্ণ সূর্যগ্রহণের চেয়ে আংশিক গ্রহণের সময় সূর্যের দিকে তাকালে চোখের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি।

৬. আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে সূর্যগ্রহণের সময় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তবে আধুনিক বিজ্ঞান এ মতটিকে সমর্থন করে না।

৭. প্রাচীনকাল থেকে সূর্যগ্রহণ গর্ভবতী নারীর গর্ভে থাকা বাচ্চার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হিসেবে মনে করা হয়। এজন্য গর্ভবতী নারীদের সূর্যগ্রহণের সময় ঘরের বাইরে যেতে বারণ করা হতো।

যেভাবে দেখবেন সূর্যগ্রহণ: এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান সংস্থা বা আন্তর্জাতিক মানক সংস্থা (আইএসও) স্বীকৃত বিশেষ সোলার গ্লাস দিয়েই সূর্যগ্রহণ দেখা সবচেয়ে নিরাপদ। তবে এসব গ্লাস ব্যবহারের বেলায় অবশ্যই ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। গ্লাস ভাঙা বা দাগ থাকলে ব্যবহার করা যাবে না।

এছাড়া অতি বেগুনিরশ্মি প্রতিরোধী বিশেষ ধরনের চশমা চোখে দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। তবে ছবি তুলতে হলে ক্যামেরায় সোলার ফিল্টার ব্যবহার করা ভালো। অন্যথায় ক্যামেরা ও চোখের ক্ষতি হতে পারে।