মঙ্গল গ্রহে এবার মিলল ফুল!

এবার মঙ্গল গ্রহে মিলল ফুল! হ্যাঁ খবর সত্যি, তবে ফুলটি পাথরের। গ্যাল ক্রেটারে মঙ্গল শিলাগুলোর চলমান তদন্তের সময় নাসার কিউরিওসিটি রোভারটি ফুলের আকৃতির বিস্ময়কর বস্তুটির মুখোমুখি হয়। রোভার দেখতে পায় একটি রক আর্টিফ্যাক্ট, যা প্রবালের টুকরো বা ফুলের অনুরূপ দেখতে। তবে পাথরটি একটি পয়সার চেয়েও ছোট। সিএনএন।

মঙ্গল গ্রহে ফুল!

নাসা বলছে, মঙ্গল গ্রহে ফুলের মতো দেখতে পাথরগুলো সম্ভবত প্রাচীন অতীতে তৈরি হয়েছিল, যখন পানি প্রবাহিত ছিল। খনিজ পাথরকে সিমেন্টের মতো জমিয়ে আকৃতিটি তৈরি হতে পারে। ২৪ ফেব্রুয়ারি মার্স হ্যান্ড লেন্স ইমেজার ব্যবহার করে ছোট্ট শিলা বিন্যাসের একটি চিত্র হাতে পেয়েছে নাসা। রোভারটির রোবোটিক বাহুর ক্যামেরায় ফুল আকৃতির পাথরটি ধরা পড়ে।

অন্বেষণের এক দশক: এ বছরের শেষের দিকে নাসার কিউরিওসিটি একটি বড় মাইলফলক উদযাপন করবে। মঙ্গল গ্রহে রোভারটির ১০ বছর পূর্ণ হবে। ২০১২ সালের ৫ আগস্ট এটি মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করে। এরপর গত এক দশক ধরে গর্তে গর্তে ঘুরে বেড়িয়ে তথ্য পাঠিয়েছে। গর্তের কেন্দ্র ও মাউন্ট শার্প বৈশিষ্ট্য অনুসন্ধান করেছে, এখনও করে যাচ্ছে।

মঙ্গল গ্রহের মাটিতে নাসার কিউরিওসিটি রোভার

মঙ্গল গ্রহ কখনো জীবাণু বা জীবের জন্য বাসযোগ্য ছিল কি-না, তা নির্ধারণ করার জন্য মিশনটি ডিজাইন করা হয়েছিল। প্রথম দিকে রোভারটি রাসায়নিক এবং খনিজ প্রমাণ আবিষ্কার করেছে, যা সুদূর অতীতে গ্রহের বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করে। তখন থেকেই কিউরিওসিটি ভূতাত্ত্বিক রেকর্ড অনুসন্ধান করছে। বিজ্ঞানীদের একটাই উদ্দেশ্য, কখন মঙ্গল গ্রহে জীবনের উপযোগী সবচেয়ে উপযুক্ত পরিবেশ আবিষ্কার করা যায়।

নাসার কিউরিওসিটি ধারালো বোল্ডার এবং শিলাজুড়ে তার পথ চলে। বিশ্লেষণের জন্য শিলা ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করতে থাকে। গাড়ি-আকারের রোভারটি মঙ্গলে ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার ওড়ার পথও প্রশস্ত করেছে।

হেলিকপ্টারটি বর্তমানে কিউরিওসিটি থেকে ২ হাজার ৩০০ মাইল দূরে অনুসন্ধান কাজে ব্যস্ত। ভবিষ্যতের মিশনে সফলতা আনতে পৃথিবীতে প্রথম মঙ্গলগ্রহের নমুনা পাঠাচ্ছে যন্ত্রগুলো। রোভারগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি-না, সেই চূড়ান্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে।