মানুষ ইতোমধ্যে মহাকাশে গাছপালা লাগাতে সক্ষম হয়েছে। এবার নতুন চিন্তা-ভাবনা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের, পৃথিবী থেকে আর মাংস নিয়ে যাওয়া লাগবে না মহাকাশে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি মহাকাশে মাংস উৎপাদনের চিন্তাভাবনা করছে। খবর পারাবলি সার্চ।
মহাকাশে মাংস উৎপাদন, ফাইল ছবি
মহাকাশে বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিন ধরে থাকতে হয় রিসার্চ করার জন্য। প্রয়োজন হয়ে পড়ে পুষ্টিকর খাবারের। সে চিন্তা থেকেই মাংস উৎপাদনে নজর দেয়া। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির তরফ থেকে দীর্ঘদিন ধরে মহাকাশচারীদের খাওয়ানোর জন্য ল্যাবগুলোতে মাংস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তারা আশাবাদী যে, মহাকাশে মাংস উৎপাদনে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে সফল হবেন তারা।
মহাকাশে কালচার্ড মাংস তৈরির জন্য মিশনে নেমেছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ইঞ্জিনিয়ার পাওলো কোরাডি। তিনি জানান, আমরা যদি পৃথিবী থেকে অনেক দূরে দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় সফল হতে চাই, তাহলে আমাদের মহাকাশচারীর পুষ্টির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
মহাকাশে নভোচারী, ফাইল ছবি
পাওলো কোরাডি আরও বলেন, গবেষণাকে বাস্তব রূপ দিতে আমাদের পক্ষ থেকে মহাকাশচারীর পুষ্টি এবং হিউম্যান স্পেস ফ্লাইটে দক্ষতা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি এই রিসার্চ দলটিকে স্পেস অ্যাপ্লিকেশনের জন্য কালচার্ড মিট উৎপাদনের জন্য একটি প্রাথমিক নকশা তৈরি করতে হবে।
এদিকে, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মাংসের চাহিদাও রয়েছে। ফলে প্রচলিত মাংস উৎপাদন আরও বেশি টেকসই হয়ে উঠবে। এই উৎপাদন প্রযুক্তিতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।