মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ার লাগাম টেনে ধরার যে হুমকি দিয়েছেন, তার জবাব দিয়েছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ইতোমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সইও করেছেন।

zukerberg facebook ceoফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ

তবে ফেসবুকের সিইও বলেছেন, সরকার সেন্সরশিপ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকায় এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে।

ফক্স নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাকারবার্গ আরো বলেন, আসলে তারা কী করতে চায়- সেটা আমাকে বুঝতে হবে। তবে সাধারণভাবে মনে হয়, সরকার সেন্সরশিপ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। তার তাই তারা প্ল্যাটফর্ম সেন্সর করার পথ বেছে নিচ্ছে।

ফেসবুক সিইও বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, লোকজন অনলাইনে যা কিছু করে, ফেসবুক তার সত্য-মিথ্যার মীমাংসাকারী হবে না। অন্য প্রাইভেট কোম্পানিগুলোরও তা করা উচিত নয়।

বিবিসি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। যাতে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে দেওয়া কিছু আইনি সুরক্ষা অপসারণ করতে চাইছেন। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে ফেসবুক ও টুইটারের মতো কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর সুরক্ষা সম্পর্কিত বিদ্যমান আইনি ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হলে দেশটির কংগ্রেস অথবা আদালত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটে ফ্যাক্ট চেকিং ট্যাগ ব্যবহার শুরু করে টুইটার কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে টুইট করেছেন, তা কতখানি সত্য সেটি যাচাই করার জন্য বার্তার নিচের- আসল খবর যাচাই করে দেখুন- এমন ফ্যাক্ট চেকিং ট্যাগ জুড়ে দেয়। এর পরই ক্ষেপে যান তিনি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন। সেইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- যারা তার বক্তব্য সমর্থন করে না- বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন।

বৃহস্পতিবার ওভাল অফিসে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমেরিকার জনগণের বাকস্বাধীনতা রক্ষা ও সমুন্নত রাখতেই তিনি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এর মাধ্যমে বিদ্যমান কমিউনিকেশন ডিসেন্সি অ্যাক্টের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।

মার্কিন কমিউনিকেশন ডিসেন্সি অ্যাক্টের ২৩০ ধারা অনুযায়ী আত্মরক্ষার সুযোগ পায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্মগুলো। আইনের এই ধারায় বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াগুলো সাধারণত তাদের ব্যবহারকারীদের কোনো পোস্টের জন্য দায়বদ্ধ নয়, তবে গুড সামারিটান ব্লকিং অর্থাৎ অশ্লীল, হয়রানিমূলক বা হিংসাত্মক বিষয় মুছে ফেলতে পারবে।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.