অটোমেশনে চলে যাবে সাড়ে ৮ কোটি চাকরি!

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জারি করা হয় লকডাউন। এ সময় অধিকাংশ কল-কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। করোনার সংক্রমণে মানুষ ঘরবন্দি থাকায় সকলে এখন প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। ফলে অনেকটা ত্বরান্বিত হয়েছে অটোমেশন প্রক্রিয়া। এতে আগামী পাঁচ বছরে সাড়ে ৮ কোটি মানুষ তাদের চাকরি হারাতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)।

অটোমেশনের কারণে চাকরি হারাবে সাড়ে ৮ কোটি চাকরি মানুষ- প্রতীকী ছবি

বুধবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ডব্লিউইএফ জানায়, দিন দিন মানুষ ও মেশিনের মধ্যে শ্রম বৈষম্য বাড়ছে। এতে আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ হারিয়ে যেতে পারে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি চাকরি। তবে এ সময়ের মধ্যে নতুন করে আরো ৯ কোটি ৭০ লাখ চাকরির ক্ষেত্র সৃষ্টি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মানুষ ঘরবন্দি থাকায় সকলে এখন ব্যবসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। এতে অনেকটা ত্বরান্বিত হয়েছে ই-কমার্স ও ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মতো পরিষেবাগুলো। মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করছে। যারা এ সেবা দিতে পারছে না তাদের চাহিদা দিন দিন কমছে।

করোনাভাইরাস- প্রতীকী ছবি

তবে শ্রমিক শ্রেণির লোকজন প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের সীমাবদ্ধতার কারণে ঘরে বসে কাজ করতে পারছে না। ফলে তাদের কর্মক্ষেত্রগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। ইতোমধ্যে যারা কাজ হারিয়েছেন, সেসব শ্রমিকদের যদি প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ না দেওয়া হয়, তাহলে মেশিন ও মানুষের মধ্যে শ্রম বৈষম্য বাড়ার সম্ভাবন রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ডব্লিউইএফ।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম যেসব বড় কোম্পানিতে জরিপ চালিয়েছে তাদের দুই পঞ্চমাংশই বলছে, তারা পরিকল্পনা করছেন প্রযুক্তি সংহতকরণের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্র কমিয়ে আনার।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেয়ে শেষ হয়েছে বেশি। যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আর হয়নি। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রযুক্তিসহ বিভিন্নভাবে সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিকদের ওপর। তবে আগামী দিনে যাতে এসব সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিকদের কাজে লাগানো যায়, এ জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ সামাজিক সুরক্ষা প্রসারিত করার ক্ষেত্র বাড়ানো হচ্ছে।