স্বাভাবিক হয়েছে সিগন্যাল

হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণ ব্যবহারকারি যোগ দেওয়ায় গত কয়েক দিন মেসেজিং অ্যাপ সিগন্যালে নানা প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। কিন্তু রোববার সিগন্যাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা সমস্যা সমাধান করে ফেলেছেন।

শুক্রবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সিগন্যাল ব্যবহারকারিরা জানান যে তারা মেসেজ আদান প্রদান করতে পারছেন না। সিগন্যালের মোবাইল ও ডেস্কটপ— দুই ধরনের ডিভাইসেই এই সমস্যা হচ্ছিলো।

গত সপ্তাহে বিশ্বের এক নম্বর মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ নতুন প্রাইভেসি পলিসির ঘোষণা দেয়। যাতে তারা জানায় যে, তারা ফেসবুকের সাথে কিছু তথ্য শেয়ার করবে। এর পরই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারিরা সরে পড়েন এবং সিগন্যালে যোগ দেন। অনেকে টেলিগ্রামও বেছে নেন।

সিগন্যালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ব্যবহারকারিরা আবার স্বাভাবিকভাবে অ্যাপটি ব্যাবহার করতে পারবেন। কোনো সমস্যা দেখা দিলে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।

সিগন্যাল একাধিক টুইটে বলেছিলো যে, কিছু কিছু ব্যাবহারকারি হয়তো কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যায় পড়তে পারেন। তবে এটি তাদের কোনো তথ্যকে নিরাপত্তাহীন করবে না।

নিজেদের সমস্যা সমাধানের খবর জানিয়ে সিগন্যাল টুইটারে বলেছে, “গতকাল থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি, এবং আমরা একসাথে এটির সমাধান করেছি।”

তারা একই সাথে বিশ্বর বিভিন্ন দেশে সিগন্যালের ব্যবহারকারিদের ধৈর্য ধরার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপের বিতর্কিত পলিসি প্রকাশের পর সিগন্যাল ও টেলিগ্রাম অ্যাপ দারুণ লাভের মুখ দেখেছে।

হোয়াটসঅ্যাপ তাদের দুই বিলিয়ন গ্রাহকদের সম্প্রতি বলে যে তারা তাদের মূল প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের সাথে তথ্য শেয়ার করবে। যদি কেউ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার চালিয়ে যেতে চান, তাহলে তাদেরকে এই তথ্য শেয়ারের অনুমতি দিতে হবে।

তবে এই শর্ত ইউরোপ ও ইউকের ব্যবহারকারিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ তাদের সব ব্যবহারকারিকেই নোটিফিকেশন পাঠাচ্ছে।

হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের নতুন পলিসিতে এমন কিছু নেই যা তাদের ব্যবহারকারিদের জন্য অনিরাপদ হতে পারে। তারা দাবি করেছে, তারা আগেও ফেসবুকের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করতো। কিন্তু তাতে তাদের গ্রাহকদের কোনো ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা হয়নি।

কিন্তু এতেও কাজ হয়নি। কোটি কোটি গ্রাহক হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে গেছেন। হোয়াটসঅ্যাপ যে অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে তা হয়তো সহজে এর ব্যবহারকারিরা ভুলবেন না।