সামরিক উড়োজাহাজ আনছে টাটা গ্রুপ!

ভারতে প্রথমবারের মতো সামরিক উড়োজাহাজ বানাচ্ছে টাটা গ্রুপ। দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট হাই-অ্যালটিটিউড উড়োজাহাজটি সিগনাল ইন্টেলিজেন্স থেকে শুরু করে আন্তঃসীমান্ত নজরদারি পর্যন্ত বহুমুখী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

সামরিক উড়োজাহাজ বানাবে টাটা গ্রুপ!

জার্মানিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে উড়োজাহাটি। অপূর্ণাঙ্গ অবস্থায় আগামী মাসে এটি ভারতে এসে পৌঁছাতে পারে। এরপর বিভিন্ন উপাদান সংযুক্ত করে এটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিফেন্সনিউজ ডটইন।

ভারতীয় কোনো বেসরকারি কোম্পানি এই প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ মিলিটারি-গ্রেড উড়োজাহাজ বানাতে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে বেঙ্গালুরুতে অ্যারোইন্ডিয়ায় উড়োজাহাজটির সক্ষমতা দেখাবে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস (সিএএসএল)। কোম্পানিটি ডিজাইনের বিস্তারিত না জানালেও উড়োজাহাজটি ‘গ্রোব জি ১৮০ এসপিএন’ আদলের হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সামরিক উড়োজাহাজ বানাবে টাটা গ্রুপ!

টিএএসএল অবশ্য এখনও ভারতে উড়োজাহাজ সরবরাহের নিশ্চিত অর্ডার পায়নি। তবে শীর্ষ নির্বাহীরা বলছেন, সশস্ত্র বাহিনীর ভবিষ্যৎ প্রয়োজনীয়তার কতা মাথায় রেখে এ খাতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তারা জানান, ধারাবাহিক উৎপাদনের জন্য একটি ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্টও নির্মাণ করা হবে।

কোম্পানি সূত্র জানায়, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪১ হাজার ফুট ওপরে উড়ার মতো করে তৈরি হচ্ছে উড়োজাহাজটি। সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার ফুট ওপরে উড়তে পারবে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হতে পারে এটি। ঘাস ও নুড়িপাথরে অবতরণে সক্ষম উড়োজাহাজটি এক হাজার কেজি ওজন ধারণ করতে পারবে। একটানা ছয় থেকে সাত ঘণ্টা উড়তে পারবে নিচু ডানা ও দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট উড়োজাহাজটি। এটি হবে ১৮০০ নটিক্যাল মাইল পরিসীমার।

টিএএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুকারান সিং বললেন, ‘বিশেষ পে-লোড যুক্ত করে উড়োজাহাজটিকে আরও উন্নত করার দিকে নজর দিয়েছি, যাতে নজরদারির সক্ষমতা বাড়ানো যায়। ভারতের মতো বিভিন্ন রকমের পাহাড়ি উচ্চতার একটি দেশে সারা দেশে কাজ করার জন্য এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোতে সাফল্য পেতে এ সক্ষমতা অনেক জরুরি। এখন তো ভারত এ প্রয়োজন মেটাতে বিদেশি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল।’