মুখোমুখি গুগল-মাইক্রোসফট

সংবাদ বা খবরের ওপর বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর যে প্রভাব রয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তবে সেই প্রভাব ঠিক কতটা বা কেমন, তা নিয়ে শুনানি শুরু হচ্ছে মার্কিন কংগ্রেসে।

গুগল ও মাইক্রোসফটের লোগো, ফাইল ছবি

তার আগেই গতকাল শুক্রবার কংগ্রেসের সাব-কমিটির শুনানিতে লিখিত বক্তব্য দিয়েছে মাইক্রোসফট। তাতে বিজ্ঞাপনে গুগলের আধিপত্যকে ক্ষতির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে মার্কিন শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান দুটি প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ালো।

মাইক্রোসফট প্রধান ব্র্যাড স্মিথ বলেন, স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। সাংবাদিকতার সমস্যাগুলোর কিছু অংশের জন্য সার্চিং ও বিজ্ঞাপনে মৌলিক প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। দুটো বিষয়ই গুগলের নিয়ন্ত্রণে।

গুগল বেআইনি কাজ করছে কি না- তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও তিনি বলেন, দুই যুগের অভিজ্ঞতা বলছে- প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে। যা বাজারে ও সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। এমন সমস্যা না এড়িয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

গুগল ও মাইক্রোসফটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোগো

এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় গুগল বলেছে, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যকে দায়ী করছে মাইক্রোসফট। এটি কাকতালীয় নয়, তাদের দীর্ঘদিনের চর্চার ফসল। প্রতিষ্ঠানটির এসভিপি অব গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কেন্ট ওয়াকার ব্লগপোস্টে এমন মন্তব্য করেন।

মাইক্রোসফট ব্যবহারকারীদের সার্ভারে ঢোকার সুযোগ করে দিয়েছে পাল্টা অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, এ কারণে ব্যবহারকারীরা হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে। এটি তাদের পুরোনো অভ্যাস, আশ্চর্যের কিছু নেই!

এর আগে সম্প্রতি অস্ট্রেলীয় এক আইন নিয়ে দ্বদ্বে জাড়িয়েছে গুগল ও মাইক্রোসফট। আইনটিতে সংবাদপত্রের আধেয় ব্যবহারে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থ দিতে বলা হয়।

ওই আইনকে স্বাগত জানায় মাইক্রোসফট। অন্যদিকে দেশটি থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার হুমকি দেয় গুগল। এর পেছনে গুগলের জায়গা মাইক্রোসফটের বিং দখল করতে চায় বলে বলা হচ্ছে।