প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে প্রতিনিয়ত ঘটছে সাইবার ক্রাইমের মতো বিষয়গুলো। ফলে ফেসবুকের মতো ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। অনেকেই আবার নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিরও শিকার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে নিরাপদ থাকতেই ফেসবুকে আটটি তথ্য না দেয়া বা শেয়ার না করার পরাপর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। 

facebook security in bangaldesh

এতে করে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে বেঁচে থাকা যাবে বলে জানিয়েছে তারা। পুলিশ যে আটটি তথ্য ফেসবুক থেকে হাইড রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে:

জন্ম তারিখ না দেয়া: প্রায় সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীই প্লাটফর্মটিতে তার অ্যাকাউন্টে জন্ম তারিখটি উন্মুক্ত করে রাখেন। এতে করে সহজেই বিপদের ঝুঁকিতে পড়েন ব্যবহারকারীরা। জন্ম তারিখ থেকেই তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করেন হ্যাকাররা। পরে সেই তথ্যের জের ধরে বড় ধরনের বিপদে পড়তে পারেন ব্যবহারকারী। তাই ফেসবুকে জন্মতারিখ উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

সন্তানের তথ্য: ইংল্যান্ডের শিশু বিষয়ক সংস্থা এনএসপিসিসি জানিয়েছে, অধিকাংশ অভিভাবক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে অসচেতন । আর এজন্যই সাম্প্রতিক অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো ঘটছে। বর্তমানে অনেক বাবা মা আবেগের বশে তার শিশু কোথায় পড়ছেন সে বিষয়গুলোও ফেসবুকে শেয়ার করে থাকেন। এতে করে শিশু অনিরাপদ হয়ে পড়ে। ফলে শিশুটি অপহরণের ঝুঁকিতে থাকে।

শিশুর ছবি প্রকাশ: এ বিষয়ে আমেরিকার অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউশনের পরিচালক শিশুদের নিয়ে যেকোনো তথ্য সবার কাছে শেয়ার করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। তার জের ধরেই আইন সৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া পরামর্শে ফেসবুকে শিশুর ছবি না দেয়ার কথা বলেছেন। কারণ শিশুর ছবি শেয়ার করলে শত্রুরা শিশুকে টার্গেটে পরিণত করে। পরে সুযোগ বুঝে শিশুটিকে অপহরণ করে।

বর্তমান অবস্থান না জানানো: বিশেষজ্ঞদের মতে যেখানে সেখানে সেলফি তুলে লোকেশন ট্যাগ করে দেওয়াটা ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায়। এতে করে যে কেউ ব্যবহারকারীর সবশেষ অবস্থান জেনে তার উপর আক্রমনের সুবিধা নিয়ে থাকে।

গোয়িং টু না দেয়া: ফেসবুক ব্যবহারকারীরা প্রায় সময়ই কখন, কোথায় যায় সে বিষয়ে জানিয়ে থাকে। যা একেবারেই অনিরাপদ। কারণ এই তথ্যে জেনে শত্রুপক্ষ যে কোন সময় হামলা করতে পারে।

নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ না করা: অনেক সময় ফেসবুকে নিজের অবস্থানের নির্দিষ্ট স্থান ট্যাগ করে দেন অনেকেই। ওই সময় প্রোফাইল যে ভিজিট করবে, সে জানতে পারবে এখন আপনি কোথায় আছেন। সেটি বাসায় কিংবা অফিসে হোক। দেখা গেল, এভাবে কেউ আপনার বাসা ও অফিসের ঠিকানা সংগ্রহ করে রাখলো। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে আপনার ক্ষতি করলো। তাই ফেসবুকে লোকেশন ট্যাগ না করার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশ।

মোবাইল নাম্বার উন্মুক্ত রাখা: ফেসবুকে মোবাইল নাম্বার উন্মুক্ত করে রাখা একেবারে ঠিক নয়। এতে করে শত্রুপক্ষ মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে এবং সুযোগ বুঝে আক্রমণ চালাতে পারে। পাশাপাশি যে কেউ মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে, সময়ে অসময়ে কল দিয়ে বিরক্ত করারও সুযোগ পায়।

ক্রেডিট কার্ডের তথ্য না দেয়া: বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। একটি স্পর্শকাতর বিষয়ও এটি। এই ক্রেডিট কার্ডের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ক্রেডিট কার্ডের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কিংবা ওয়েবসাইট বুঝেই দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ বাহিনী।

আপনি আরো পড়তে পারেন 

১০ কোটি টাকার মামলার মুখে ফেসবুক

 মোবাইল অ্যাপে অভিযোগ জানান র‍্যাবকে

ডায়াবেটিস আক্রান্ত শিশুর দেখভালে রোবট

আবারও অ্যান্ড্রয়েডে ম্যালওয়্যার আক্রমণ

অফলাইনেও দেখা যাবে ফেসবুকের ভিডিও!

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.