বিশ্ব ও বিশ্বের মানুষের জন্য অন্যরকম একটি দিন ছিল ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট। সেদিন হয়তো বিষয়টির মাহাত্ম্য এতটা বোঝা যায়নি, কিন্তু ৩০ বছর পর এসে আজ এ কথা বলাই যায়, দিনটি ছিল বিশ্বকে পাল্টে দেয়ার। কারণ সেদিনই শুরু হয়েছিল ওয়েবসাইট নামক জিনিসটির পথচলা। ৩০ বছরের যাত্রায় যেখানে যুক্ত হয়েছে আরো ১৮০ কোটি সহযাত্রী।

internetইন্টারনেট-ওয়েবসাইট আজকের ডিজিটাল জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ

যারা গুগলে সার্চ করে, ফেসবুকে শেয়ার করে, আমাজনে কেনাকাটা করে, আরো কত কী করে অথচ তারা স্যার টিম বার্নার্স-লি সম্পর্কে কখনোই শোনেনি। কিন্তু স্যার টিম যদি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) আবিষ্কার না করতেন, তাহলে হয়তো আজকের দুনিয়াটাই অন্য রকম হতো। গুগলে সার্চ করা হতো না, ফেসবুকের শেয়ার হতো না, আমাজনে কেনাকাটা হতো না।

৩০ বছর আগে ইউরোপীয় পারমাণবিক গবেষণা সংস্থা সিইআরএনে এ কাজ করার সময় তরুণ ইংলিশ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইটটি চালু করেন। মূলত ১৯৮৯ সালে বার্নার্স-লি গ্রাফিকস এবং অন্যান্য চিত্রগুলো সম্পাদনা করতে সক্ষম ব্রাউজার সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডিজিটাল বস্তুগুলিকে শনাক্ত ও পুনরুদ্ধার করার উপায় নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি ওই বছরেরই ১২ মার্চ একটি প্রস্তাবনা প্রকাশ করেন, যা একটি প্রযুক্তিগত বিপ্লবের পথ খুলে দেয়। আর এ বিষয়টাই মানুষের পণ্য কেনা, ধারণা ভাগ করা, তথ্য পাওয়াসহ আরো অনেক কিছুকে বদলে দিয়েছে।

sir tim berners leeওয়েবসাইটের জনক স্যার টিম বার্নার্স-লি

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট তিনি বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট http://info.cern.ch চালু করেন। ধারণা করা হয়, বর্তমানে বিশ্বে ১৮০ কোটি ওয়েবসাইট রয়েছে। বার্নার্স-লি তার এ প্রযুক্তির প্যাটেন্ট করার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। বরং তিনি এটিকে রয়্যালটি-মুক্ত সফটওয়্যার হিসেবে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেন।

ফলে এটিকে কেন্দ্র করে অন্য প্রোগ্রামাররা নিজেদের ভিত্তি মজবুত করার সুযোগ পেয়েছিল। এর ফলে আজকে এক কোটির বেশি ওয়েবসাইট তৈরি করেছে, যা ৩০০ কোটির বেশি মানুষকে অনলাইনে ঢোকার ব্যাপারে সহায়তা করেছে।

২০১৯ সালে বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে বার্নার্স-লি ব্যাখ্যা করেছিলেন কেন তিনি সম্প্রতি অনলাইন আচরণ পরিচালনা করার জন্য একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেন, এটি ইন্টারনেটের অধিকার ও বাধ্যবাধকতার বিল, যা ভুল তথ্য, গণনজরদারি ও সরকারি সেন্সরশিপের ক্রমবর্ধমান বিস্তারকে প্রতিহত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.