বছরে চার কোটি টাকা বেতন, আনলিমিটেড ছুটি, ফ্রি খাবার, আরও হরেক রকম সুবিধা পেলে চাকরি ছাড়ার তো প্রশ্নই আসে না। বরং এর ব্যতয় হলে সেটা অবিশ্বাস্য বলেই মনে হবে। এই অবিশ্বাস্য কাজটাই করেছেন মাইকেল লিন। তাকে এতসব সুবিধা দিয়েও চাকরিতে আটকে রাখা যায়নি। নেটফ্লিক্সের মতো ভালো একটা প্লাটফর্মও তাকে আটকে রাখতে পারেনি। স্রেফ একঘেয়ে লাগছিল বলেই চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছেন।

michael linমাইকেল লিন

মাইকেল লিন এর আগে আমাজনে কাজ করতেন। ২০১৭ সালে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নেটফ্লিক্সে যোগ দেন। বছরে চার কোটি টাকা বেতনের পাশাপাশি বিনামূল্যে খাবার, অফুরন্ত ছুটি নেওয়ার সুযোগসহ হরেক রকম সুবিধা ছিল তার।

প্রথমদিকে ভালো লাগছিল লিনের। সুযোগ-সুবিধার বহর ছাড়া প্রতিদিন নতুন নতুন অনেক কিছু শেখার সুযোগ হচ্ছিল। প্রতিভাধর মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ মেলায় পুরো বিষয়টি স্বপ্নের মতো লাগছিল তার কাছে।

netflix officeনেটফ্লিক্স অফিস

কিন্তু করোনা মহামারি আসার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। না, তার স্যালারি কমেনি, সুযোগ-সুবিধাও কমেনি। কিন্তু ওয়ার্ক ফর হোমের মতো আরো অনেক বিধিনিষেধ ঘাড়ে এসে পড়ায় বাধাগ্রস্ত হয় তার স্বাভাবিক গতি। সহকর্মীদের সথে মেলামেশার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গদবাধা কাজ করতে বাধ্য হন। এতেই কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন তিনি। এক পর্যায়ে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

মাইকেল লিনের ববাবা-মা এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু মাইকেল জানিয়ে দেন, যে কাজ উপভোগ করতে পারছেন না, সে কাজ তিনি করতে পারবেন না।

লিন এখন স্বাধীন। মানে কিছুই করছেন না। কোনো উপার্জনও নেই। তবুও নিজেকে সুখী বলেই দাবি করছেন তিনি। জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে নিজের জন্য স্বাধীনভাবে কিছু করার ইচ্ছে আছে। তবে আপাতত স্বাধীনতা উপভোগ করছেন তিনি।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.