ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা সবার জন্য নিশ্চিত করতে চায় সরকার। তারই অংশ হিসেবে দেশের হাওর, দ্বীপ, দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলসহ প্রত্যন্ত এলাকায় ডিজিটাল সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে রসদ হিসেবে কাজ করবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থ (এসওএফ)।
ইন্টারনেটের সংযোগ, ফাইল ছবি
এই তহবিলের অর্থের মাধ্যমে ২ হাজার ২৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশের মোবাইল ফোন অপারেটররা মোট রাজস্ব আয়ের এক শতাংশ অর্থ এই সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে জমা রাখে।
ডিজিটাল সংযোগের কোন খাতে কত অর্থ ব্যয় করা হবে, তা নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ৫০৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপন করছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে দ্বীপ এলাকায় নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয় করছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড। পাশাপাশি টেলিটকের মাধ্যমে ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর ও দ্বীপাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং বিটিসিএলের মাধ্যমে ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর-বাওর ও প্রত্যন্ত এলাকায় ব্রডব্যান্ড ওয়াইফাই সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মোস্তাফা জব্বার
এছাড়া দুর্গম এবং উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন জনপদ ও স্থাপনায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপনে ৪৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এবং সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটাল করণে ৮৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। পাশাপাশি টেলিটকের মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ৫২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের বিভিন্ন দ্বীপ এলাকা, হাওর, প্রত্যন্ত এলাকা ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছাতে সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রকল্পটির মাধ্যমে শহর ও গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য কমানো সম্ভব হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগামী দিনে দেশের প্রতিটি কোনায় উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর জাতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।