দুই বছর বন্ধ থাকা সিম পুনরায় বিক্রি

টানা দুই বছর সিম ব্যবহার না করলে সিমের মালিকানা হারাবেন গ্রাহক। এই নির্দিষ্ট সময়ের পর মোবাইল কোম্পানি চাইলে অব্যবহৃত সিমটি আবার বাজারে বিক্রি করে দিতে পারবে। এছাড়া এক মাসের অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা পরের মাসের কেনা ডাটার সাথে যোগ হবে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ‘ডাইরেকটিভস অন সার্ভিস অ্যান্ড ট্যারিফ ২০১৫’ নামে একটি নির্দেশনায় মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে এই নির্দেশ প্রদান করেছে। দেশের সব মোবাইল কোম্পানিগুলো এই নির্দেশনাকে ইতিবাচক হিসেবেই গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।

বিটিআরসি’র জারি করা ওই নির্দেশনায় মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, কোনো মোবাইল সিম ৯০ দিন অব্যবহৃত থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর হয়ে যাবে। তবে এক বছরের মধ্যে ন্যূনতম যে কোনো পরিমাণের টাকা রিচার্জের মাধ্যমে সেটা আবার সচল করা যাবে।

কোনো সিম এক বছরের বেশি অব্যবহৃত থাকলে সেটি সচল করতে ১৫০ টাকা রিচার্জ করতে হবে। দুই বছর অব্যবহৃত থাকলে ১০০ টাকা ফি দিয়ে তা সচল করতে হবে। দুই বছরের মধ্যে সিম চালু না করলে এর পরবর্তী দুই বছর মোবাইল কোম্পানি সিমটি সংরক্ষণ করবে এবং পরে বন্ধ সিম নাম্বারসমূহ পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে বিক্রি করে দিতে পারবে।

পুরাতন নাম্বার বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো অতিরিক্ত মূল্য আরোপ না করে সিমের চলতি বাজারদরেই বিক্রি করতে হবে। তবে বিক্রি করার পরও গ্রাহকের নিবন্ধন ও অন্যান্য তথ্য আবশ্যকীয়ভাবে কোম্পানিগুলো সংরক্ষণ করবে।

ইন্টারনেট ডাটার ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ডাটা অব্যবহৃত থেকে গেলে পরের মাসে কেনা ইন্টারনেট ডাটা প্যাকেজের সাথে তা যোগ হবে। পূর্বের মাসের ডাটা খরচ হওয়ার পরই নতুন কেনা ডাটা খরচ হবে। এছাড়া ডাটা শেষ হওয়ার আগে মেসেজের মাধ্যমে গ্রাহককে সতর্ক করতে হবে।

নির্দেশনায় মোবাইল কোম্পানির প্রচারিত বিজ্ঞাপনে কোনো কোম্পানিই তাদের প্যাকেজকে সেরা বলে দাবি করতে পারবে না এই মর্মে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা রিচার্জে ১০ দিন, ৩১ টাকা থেকে ৫০ টাকায় ১৫ দিন, ৫১ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় ৩০ দিন, ১৫১ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় ৪৫ দিন, ৩০১ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় ১০০ দিন, ৫০১ টাকা থেকে ৯৯৯ টাকায় ১৮০ দিন এবং ১০০০ বা তার বেশি টাকা রিচার্জে ন্যূনতম এক বছর সিমের মেয়াদ দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের হিসাব অনুযায়ী ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ১২ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার মোবাইল ফোনের গ্রাহক রয়েছে। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করেন এমন গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার।

আপনি আরও পড়তে পারেন

রবি নিয়ে এলো ম্যাজিক স্ক্র্যাচ কার্ড

বিশ্বের ২১৫ দেশে এক সিম

শিক্ষার্থীদের জন্য টেলিটিকের নতুন প্যাকেজ