তরঙ্গ ফিরে পেলেও সিটিসেল মূলত ‘মৃত’

তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) ফিরে পেয়েছে সিটিসেল। বিটিআরসিকে সিটিসেল চালুর নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির লাইনেন্স পুনর্বহালেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে কাগজে-কলমে আর কোন বাঁধা নেই সিটিসেলের। তবে ফিরে আসার অনুমতি পেলেও মোবাইল ফোন অপারেটরটি মূলত মৃত। গ্রাহক নেই, কর্মী নেই, অফিস নেই; কিছু থাকলেও সেগুলোতে তালা ঝোলানো।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সিটিসেলের তরঙ্গ ফিরিয়ে দিয়েছে বিটিআরসি। তবে এতে কাজের কাজ হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিটিসেলের এক কর্মী বলেছেন, ‘বুধবার বিটিআরসির এক কর্মকর্তা সিটিসেল অফিসে এসে স্পেকট্রাম খুলে দিয়ে গেছে। তবে এতে কোন লাভ হয়নি। কারণ কোন গ্রাহক নেই, কোন বিটিএস (নেটওয়ার্ক টাওয়ার) চালু নেই।’

সংযোগ পুনরায় চালু করা সিটিসেলের জন্য অনেক কষ্টসাধ্য বললেন ওই কর্মী, ‘সিটিসেলের পক্ষে সংযোগ চালু করা এখন অনেক কঠিন। নিজেদের মধ্যে (সিটিসেল টু সিটিসেল) সংযোগ চালু করতে হলেও তাদের বিটিএসগুলো চালু করতে হবে। আর অন্য অপারেটরের সঙ্গে সংযোগ চালু করতে হলে তাদের সঙ্গে চুক্তির বিষয় আছে। আইসিএক্সের (ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ) সঙ্গেও চুক্তি করতে হবে। আর এই বিষয়গুলো বহু ব্যয়সাধ্য।’

সেই ব্যয় করতে চাইলেও কর্মী সংকটের কারণে এখনই সেবা চালু করা সম্ভব হবে না সিটিসেলের পক্ষে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক জৌষ্ঠ নির্বাহী ও এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল করিম।

আশরাফুল করিম জানান, ‘সিটিসেলে এখন আর কোন কর্মী নেই। যে দুই-তিনজন আছেন, তারা মালিকের পক্ষে আশীর্বাদপুষ্ট। তারাই মূলত দেখভাল করেন এখন।’ পুনরায় সংযোগ চালু করতে নয়, অন্য কারো কাছে বিক্রি করতেই সিটিসেলের লাইসেন্স বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে, বিটিআরসির হিসেব মতে, গত বছরের ৩১ জুলাই সিটিসেল বন্ধ হওয়ার সময় সাত লাখের মতো গ্রাহক ছিল অপারেটরটির। কিন্তু সক্রিয় ছিল দুই-তিন লাখ মতো। যার বেশিরভাগই ডাটা (ইন্টারনেট) ব্যবহারকারী। বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই সংখ্যা প্রায় হারিয়েই গেছে। এমন অবস্থায় সিটিসেল নিজেও পুর্নভাগে ফিরতে চাইবে কিনা সন্দেহ।