থ্রিজির দামে টুজি, ব্যবস্থা নিচ্ছে বিটিআরসি

দেশে থ্রি-জি গতির ইন্টারনেটের দামে টু-জি গতির ইন্টানেট প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বিটিআরসি। এ জন্য খুব শিগগিরই মাঠে নামতে যাচ্ছে একটি তদন্তকারী দল। যারা এ প্রকার প্রতারণার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 

২০১৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে দেশে চালু হয়েছে থ্রি-জি গতির ইন্টারনেট প্রযুক্তি। বর্তমানে দেশের সব অপারেটরের মোট চারকোটি ৫৬ লাখ ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এক কোটি ৬১ লাখ থ্রি-জি গ্রাহক। থ্রি-জি প্রযুক্তির বাইরের প্রায় ৬৫ শতাংশ গ্রাহকই থ্রি-জি ইন্টারনেটের মূল্যে ক্রয় করে থাকেন টু-জি গতির ইন্টারনেট। 

বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসির সচিব মোঃ সরওয়ার আলম জানান, দামের ক্ষেত্রে এই প্রতারণা আমরা বেশ গুরুত্বের সাথেই দেখছি। খুব শিগররই এটির ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবো আমরা। টু-জি ও থ্রি-জি ইন্টারনেট প্যাকেজের গতি, পরিমাণ ও মূল্যের বিষয়ে ব্যবহারকারীকে সুনির্দিষ্ট করে জানানো হচ্ছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষা করা হবে। এ বিষয়ে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী পরে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ টু-জি ও থ্রি-জি ইন্টারনেট প্যাকেজের একই দাম প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, গ্রাহক স্বার্থ নিশ্চিত করতেই বিষয়টি তদন্ত করবো আমরা।

উল্লেখ্য, থ্রি-জি এবং টু-জি প্রযুক্তির ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নির্ধারণে বিটিআরসির সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতি উল্লেখ নাই। সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মোবাইল অপারেটররা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নির্ধারণে একেক জন একেক পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছে। দেখা গেছে থ্রি-জি ও টু-জি ইন্টারনেট প্যাকেজ আলাদা করে উল্লেখ করা থাকলেও দুটির দাম একই রাখছে অপারেটরগুলো।

আপনি আরো পড়তে পারেন

বাজেট অনুযায়ী নতুন কলরেট কার্যকর

বাড়ছে কলচার্জ ও ইন্টারনেটের দাম

কমে যাবে সিম কার্ডের দাম