কর্মী ছাটাইয়ের পর পরিবর্তন নিয়ে আসছে বাংলালিংক

গত ডিসেম্বরে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণের পর গতকাল গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হলেন এরিক অস। গতকাল রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরিন নানা বিষয় তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি কোম্পানির ভবিষ্যত কার্যক্রম কেমন হবে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে।

বাংলালিংকের ভবিষ্যত পরিবর্তন সম্পর্কে এরিক অস বলেন, 'বর্তমানে শুধু মোবাইল ফোনের সেবা দিয়ে বাজারে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সেবার পরিধি বাড়ানোর পথে হাঁটছে বাংলালিংক। পাশাপাশি আসছে কোম্পানির কাঠামোতে পরিবর্তন। গ্রাহকদের ভালো সেবা দেওয়ার জন্য দক্ষ জনবল প্রয়োজন আর এখন সে লক্ষ্যেই কাজ করছি আমরা।'

এরিক আরো বলেন, 'শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিতে কর্মীরা নানা ভূমিকা রেখে আসছেন। তাদের সেই ভুমিকাকে আমি অবশ্যই অবশ্যই সম্মান জানাবো । তবে কোম্পানির পুঃনর্গঠনের স্বার্থে কিছু জনবল কমতে পারে। প্রতিষ্ঠানটিতে এখন সামগ্রিক বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে। যারা পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারবেন না তাদের জন্য স্বেচ্ছা অবসরমূলক কার্যক্রম শুরু করেছি। কর্মীদের জন্য দুটি রাস্তাই খোলা আছে। হয় পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিবেন। অন্যথায় স্বেচ্ছা অবসরের পথ বেছে নিবেন।'

প্রতিষ্ঠানটি ঠিক কতজন কর্মী ছাটাই করবে জানতে চাইলে বাংলালিংক সিইও বলেন, এটা স্বেচ্ছাসায়মূলক। স্বেচ্ছায় যতজন যায় ততজনই ছাটাই করা হবে। আর কোম্পানিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে অনুমতি দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে বাংলাদেশের শ্রম আইন মেনে সামনে বাড়বে বাংলালিংক। কর্মীরা এটি করার জন্য শ্রম মন্ত্রণালয় আবেদন করেছে। তারা বিবেচনা করে অনুমতি দিলে সে ক্ষেত্রে বাংলালিংকের এখানে কিছুই বলার নেই। প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে বাংলাদেশের সব আইন মেনে চলতে বাধ্য থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক কর্মীকেই বাংলালিংকের একেকটা অংশ বলেও মনে করা হয় বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান এ কর্মকর্তা।

আপনি আরো পড়তে পারেন 

কমছে বিটিসিএল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম

কর্মী অসন্তোষের জেরে বাংলালিংকের সকল কার্যালয় বন্ধ!

এবার সিম নিবন্ধন তদারকিতে মাঠে নামছে বিটিআরসি