তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেট ছাড়া যেন চলেই না! অফিস থেকে শুরু করে শপিং, বিনোদন থেকে শুরু করে খবরাখবর- সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার হচ্ছে। চলতি করোনাকালে এই ধারাকে আরো বেশি বেগবান করেছে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে।

mobile internet speed bangladeshমোবাইল ইন্টারনেট, ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, মহামারি শুরুর পর স্বাস্থ্যবিধির কারণে দেশে নারীদের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। বিশেষ করে ভিডিও কল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার এবং অনলাইনে ভিডিও দেখা বেড়ে গেছে অনেক। এই হার প্রায় ৬২ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়। ২০২০ সালে মোবাইলে ফ্রি ভিডিও দেখা নারীর সংখ্যা প্রতি সপ্তাহে ৯ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে পৌঁছেছে।

জিএসএমএ মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট-২০২১ নামে এই সমীক্ষা স্বল্প পরিসরে চালানো হয়েছে ৮টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে। গত বছরের ৪ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এসব দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

mobile internet speed bangladeshমোবাইল ইন্টারনেট, ফাইল ছবি

সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ৪৭ শতাংশ নারী মোবাইল ইন্টারনেটের বিষয়ে জানলেও ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ শতাংশ বেড়ে ১৯ শতাংশ হয়েছে। এর বিপরীতে ৩৩ শতাংশ বেড়েছে পুরুষদের ইন্টারনেট ব্যবহার। করোনাকালে সব মিলিয়ে পুরুষের চেয়ে নারীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে।

তবে সেই তুলনায় বাড়েনি স্মার্টফোনে নারীর মালিকানা। ২০১৯ সালে স্মার্টফোন ছিল ২১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নারীর, যা ২০২০ সালেও একই। এর বিপরীতে তিন শতাংশ বেড়েছে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের স্মার্টফোনের মালিকানা। ২০১৯ সালে ৩৬ শতাংশ থাকলেও ২০২০ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে।

এ ছাড়া মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতনতা বিগত বছরগুলোকে অভাবনীয় হারে বেড়েছে নারীর ক্ষেত্রে। এই হার ২০১৭ সালে যেখানে ছিল ৩৪ শতাংশ, তা বেড়ে ২০২০ পৌঁছেছে প্রায় ৬৬ শতাংশে। পুরুষদের বেলায়ও বেড়েছে মোবাইল ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতনতা, ২০১৭ সালের ৫০ শতাংশ থেকে ২০২০ উন্নীত হয়েছে ৭৫ শতাংশে।

broadband internetব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট, ফাইল ছবি

সমীক্ষায় আরো বলা হয়েছে, মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকদের মধ্যে বয়স ভেদে বেড়েছে লিঙ্গ বৈষম্যের পরিমাণও। ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের বেলায় এটি সবচেয়ে বেশি, ৪৬ শতাংশ। ১৮-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ১৭ শতাংশ।

বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) জানায়, গত বছরের জুন শেষে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৯ কোটি। যা আগের মাসে ছিল ১১ দশমিক ৭৩ কোটি। তখন স্মার্টফোনের মালিকের সংখ্যা ছিল ১৭ দশমিক ৬৪ কোটি, মে মাসে যা ছিল ১৭ দশমিক ৫২ কোটি।

দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত জুনে এক কোটির মাইলফলক স্পর্শ করার কথা জানায় সংস্থাটি। ওই সময় আগের বছরের চেয়ে গ্রাহকের সংখ্যা ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায় করোনাকালে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারী পৌঁছায় ৪৩ লাখে।

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.