মোবাইল অপারেটর রবি-এয়ারটেল একীভূত হতে আর কোনো বাধা রইলো না। বুধবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রবি-এয়ারটেল একীভূত হতে অনুমোদন দিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে রবির সামনে চলে এলো বাংলাদেশের এক নম্বর মোবাইল অপারেটর হওয়ার একটি সুযোগ।

robi logo

এই অনুমোদনের ফলে গ্রামীণফোনের পরে রবিই হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর। এর গ্রাহকসংখ্যা হবে প্রায় চার কোটি। একীভূত হয়ে যাওয়ার পর দুই কোম্পানির গ্রাহকরাই ‘রবি গ্রাহক’ হিসেবে পরিচিত হবেন।

একীভূত করার এই মামলায় আদালতে বিটিআরসি’র পক্ষে আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকীব এবং রবি-এয়ারটেলের পক্ষে তানজিব-উল আলম শুনানি করেন। এছাড়া সাদ সামি আহমেদ এয়ারটেলের কর্মীদের পক্ষে ছিলেন।

এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের এক নম্বর মোবাইল অপারেটর হওয়ার একটি সুযোগ রবির সামনে চলে এলো। বর্তমানে পাঁচকোটিরও বেশি গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের এক নম্বর মোবাইল অপারেটর। গ্রামীণফোন নরওয়েভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টেলিনর এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত।

‘রবি’ কেন হতে পারে এক নম্বর মোবাইল অপারেটর?

রবি-এয়ারটেল একীভূত হতে যাওয়ার মাধ্যমে রবি একটি বিশাল কোম্পানিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে এয়ারটেলের নামে ২০ মেগাহার্টজ আর রবির নামে ১৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ রয়েছে। দুটি কোম্পানি একসাথে হয়ে গেলে তাদের মোট তরঙ্গের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ। যা বাংলাদেশের যে কোনো কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে গ্রামীণফোনের নামে সর্বোচ্চ ৩২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ আছে। উন্নত মানের সেবা, ভয়েস কল, ইন্টারনেট এবং চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবা দেওয়ার জন্য তরঙ্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এছাড়া রবি ও এয়ারটেলের ১০০টিরও বেশি কাস্টমার কেয়ার সেন্টার, ১১ হাজার পরিবেশক ও আড়াই লাখ খুচরা বিক্রেতা, রবির ৮ হাজার ৭০০ এবং এয়ারটেলের সাড়ে ৫ হাজার টাওয়ার মিলিয়ে মোট ১৪ হাজারের বেশি টাওয়ার নিয়ে মোবাইল অপারেটর রবি অন্যতম একটি কোম্পানিতে পরিণত হতে যাচ্ছে।

তবে একীভূত হওয়ার আগে রবিকে তরঙ্গ ফি হিসেবে ৫০৭ কোটি ও একীভূতকরণ ফি হিসেবে ১০০ কোটি, মোট ৬০৭ কোটি টাকা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দিতে হবে।

একীভূত হতে যাওয়া এই কোম্পানিতে রবির মালিকানা থাকবে ৭৫ শতাংশ এবং এয়ারটেলের ২৫ শতাংশ।

বর্তমানে মার্কেটে থাকা এয়ারটেল বাংলাদেশ মোবাইল অপারেটরের মালিক ভারতী এয়ারটেল। আর অন্যদিকে রবির ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ মালিকানা আজিয়াটা গ্রুপ এবং ৮ দশমিক ৪ শতাংশ এনটিটি ডোকোমোর হাতে।

বর্তমানের রবির বাংলাদেশে প্রথম যাত্রা হয় ১৯৯৬ সালে। বাংলাদেশের শিল্পগোষ্ঠী এ কে খান গ্রুপ এবং টেলিকম মালয়েশিয়ার যৌথ অংশীদারির ভিত্তিতে গঠিত এই কোম্পানি ২০১০ সালের আগ পর্যন্ত একটেল নামে পরিচিত ছিলো। এরপর ২০১০ সালে একটেল কিনে নেয় আজিয়াটা গ্রুপ। তখন এর নাম হয় রবি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে রবি বাংলাদেশে ১৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।

অপরদিকে ২০১০ সালে দুবাইভিত্তিক ওয়ারিদ টেলিকমকে কিনে নেয় ভারতী এয়ারটেল। পরে তারা এয়ারটেল নামে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে। এয়ারটেল এ পর্যন্ত ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

আরো দুই মাস সময় পেলো সিটিসেল

লোকসানের মুখে মোবাইল অপারেটর রবি

মায়েদের জন্য ‘টেলিটক-মায়ের হাসি’, প্রতিমাসে ১৫ টাকা ফ্রি

গ্রামীণফোন ই-শপ থেকে কিস্তিতে নয়টি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন

দেশে অবৈধ ভিওআইপি কল আনায় শীর্ষে টেলিটক

Stay ahead of the curve with the latest news and insights on technology, mobile computing, laptops, and outer space. Our team of expert writers brings you in-depth analysis of the latest trends and breakthroughs, along with hands-on reviews of the newest gadgets and devices. From the latest smartphones to the mysteries of the cosmos, we've got you covered.