টি-টোয়েন্টির সুর ধরতে পারছে না বাংলাদেশ

এইতো কিছুদিন আগে আফগানিস্তানের কাছে ঘরের মাঠে সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটেই সিরিজ হেরেছে জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তারা। সেই জিম্বাবুয়েই বাংলাদেশকে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারের লজ্জা উপহার দিলো। তারুণ্যে ঠাসা বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলটা প্রথম মিশনেই সিরিজ হারের গ্লানিতে ডুবল।

টি-টোয়েন্টির সুর ধরতে পারছে না বাংলাদেশ

মঙ্গলবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ১০ রানে পরাজিত করেছে জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচের সিরিজটা ২-১ এ জিতে নিলো স্বাগতিকরা।

জিম্বাবুয়ের স্কোরটা বড় ছিল না। বাংলাদেশের টার্গেট ছিল ১৫৭ রান। এই টার্গেট পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ উইকেটে ১৪৮ রানের বেশি যেতে পারেনি টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে বড় গলদ ছিল। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটাই করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। নেতৃত্ব হারিয়েও একাদশে ফেরা অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ করেছেন ২৭ রান, তাও ২৭ বলে। যা এই ফরম্যাটের সঙ্গে বড্ড বেমানান। বিজয়, শান্তরাও ফরম্যাটের সুর ধরতে পারেননি ব্যাট হাতে। শান্ত ২০ বলে ১৬, বিজয় ১৩ বলে ১৪ রান করেছেন।

লিটন দাস ১৩ ও মুনিম শাহরিয়ারকে বসিয়ে অভিষেক করানো পারভেজ ইমন ২ রান করে আউট হন। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক। আফিফ, মেহেদী চেষ্টা করেছেন বটে, কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। আফিফ ২৭ বলে ৩৯, মেহেদী ১৭ বলে ২২ রান করেন। জিম্বাবুয়ের নাউচি ৩টি, ইভান্স ২টি, মাধেভেরে, শন উইলিয়ামস ও লুক জঙ্গি ১টি করে উইকেট পান।

এর আগে জিম্বাবুয়েকে ভালোই চেপে ধরেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ১৪ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ৭৬ রান। ১৫তম ওভারে নাসুম আহমেদের উপর ঝড় তুলেন রায়ান বার্ল। পাঁচ ছক্কা ও একটি চারে ৩৪ রান তুলেছেন তিনি।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে এই রায়ান বার্লই সাকিব আল হাসানের এক ওভারে ৩০ রান তুলেছিলেন। আজ নাসুমকে নিয়ে গেলেন লজ্জার এক রেকর্ডে। যেখানে নাসুমের চেয়ে বেশি রান দিয়েছেন শুধু স্টুয়ার্ট ব্রড ও আকিলা ধনঞ্জয়া। দুজনই ৬টি ছক্কায় ৩৬ রান দিয়েছিলেন। নাসুমের মতোই ৩৪ রান দিয়েছেন ভারতের শিবাম দুবে, ২০২০ সালে মাউন্ড মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

রায়ান বার্ল ২৮ বলে ৫৪ রান করেন। তার ব্যাটেই ৮ উইকেটে ১৫৬ রানের পুঁজি গড়ে জিম্বাবুয়ে। লুক জঙ্গি ৩৫, ক্রেইগ আরভিন ২৪, চাকাভা ১৭ রান করেন। বাংলাদেশের মেহেদী, হাসান মাহমুদ ২টি করে, মুস্তাফিজ, মোসাদ্দেক, নাসুম, মাহমুদউল্লাহ ১টি করে উইকেট নেন।

রায়ান বার্ল ম্যাচ সেরা ও সিকান্দার রাজা সিরিজ সেরার পুরস্কার পান।