সুজনের প্রশ্ন, কবে শিক্ষাটা নেবেন ক্রিকেটাররা

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের সব পরিকল্পনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির এ পরিচালকের কথায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিংহভাগ সিদ্ধান্ত হয়। বলা চলে, জাতীয় দলের হর্তাকর্তা তিনি।

সুজন

জিম্বাবুয়ে সফরে তারুণ্য নির্ভর দল পাঠানোর পরিকল্পনাও তারই মস্তিষ্কপ্রসূত। কিন্তু সেই পরিকল্পনা পুরোপুরি বুমেরাং হয়ে ধরা দিয়েছে। জিম্বাবুয়ের কাছে ২-১ এ টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ দল। হারের দায়টা ক্রিকেটারদের উপরই দিচ্ছেন সুজন। আর সবার মতো, তার মনেও প্রশ্ন কবে ভুল থেকে শিখবেন ক্রিকেটাররা।

বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে সুজন বলেছেন, ‘সবারই মন খারাপ, আমারও মন খারাপ। স্বাভাবিক। আমি খুব হতাশ। আমরা বারবার বলি নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে। কিন্তু আমরা কবে সে শিক্ষাটা নেব। আমি পুরোপুরি ক্রিকেটারদের দোষ দেবো। তাদের প্রয়োগ সম্পূর্ণ ভুল ছিল।’

ক্রিকেটারদের সুজন বলছেন, ‘বার্তা একটাই এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে, অনুশীলনের মাধ্যমে বের হতে হবে। আপনি অনুশীলনে ঠিকই ক্যাচ ধরছেন, মাঠে চাপের জন্য পারছেন না। এই চাপ থেকে আপনাকেই বের হয়ে আসতে হবে।’

সুজনের মতে, সাহসী ক্রিকেট খেলতে পারছে না বাংলাদেশ দল, ‘কালকে আমাদের একটা ব্যাটসম্যানকে উচিত ছিল অ্যাটাক করা। আমাদের ৮ নাম্বার ব্যাটসম্যান মেহেদী ছক্কা মেরেছে। এটা তো আমরা চাই না, আমরা চাইব সাহসী খেলতে হবে। যেটা বার্ল করল, এক ওভারে ৩৪ নেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গেল, ৬ ওভার আশির মতো রান, আমার মনে হয় এটা বিশ্ব রেকর্ডও। লিটন রান করেনি বলে টপ অর্ডার রান করবে না, এটা তো কঠিন কল। এটা থেকে তো বের হয়ে আসতে হবে। তাদের থেকে ইতিবাচক খেলতে হবে, কোথায় থেকে বাউন্ডারি বের করবেন, প্লান অনুযায়ী খেলা, জুটি গড়া। এসব পারলে সহজ হতো। আমরা যেভাবে আউট হয়েছি সেটাও মেনে নেওয়ার মতো না।’

টি-টোয়েন্টিতে হারের বৃত্ত ভাঙতে করণীয় জানতে চাইলে টিম ডিরেক্টর বলেন, ‘করণীয়টা কী এটা ক্রিকেটাররাই বলতে পারবে। এমন না যে ছেলেরা এখন দলে আসছে আর যাচ্ছে। তারা একটা সময়ের জন্য সুযোগ পাচ্ছে। তারা জানে যে তাদের জায়গা নিয়ে এত কাড়াকাড়ি নেই। তাদের ঠিকঠাক সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় তো মন খুলে খেলা উচিত। আমি ওই মন খুলে খেলাটা দেখতে পাচ্ছি না।’

টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজের মিশনে নামবে বাংলাদেশ দল। আগামী ৫, ৭ ও ১০ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ানডে খেলবে তামিম ইকবালের দল।