ক্লার্ক কাঁদলেন, কাঁদালেন

বিশ্বকাপটা তখন জিতেই গেছে অস্ট্রেলিয়া। দরকার মাত্র ৯ রান। হাতে আছে আটটি উইকেট। ওভারও পরে আছে অর্ধের মতো। এর মধ্যেই ৭৪ রানে থাকা মাইকেল ক্লার্ক বোল্ড হয়ে গেলেন ম্যাট হেনরির বলে। অধিনায়কের আউটের স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার কথা মেলবোর্নের গ্যালারির, কিন্তু হলো উল্টোটা! ৯০ হাজারের বেশি দর্শক হাততালি দিতে লাগলেন। তাদের চোখে পানি। আউট হয়ে ব্যাট উঁচু করে দর্শকদের হাততালির জবাব দিচ্ছেন ক্লার্ক। তার চোখেও পানি!

২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটিই ক্লার্কের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। মেলবোর্নের গ্যালারিতে এ কারণেই বাঁধভাঙ্গা আবেগ। শেষ ম্যাচে ক্লার্ক কেঁদেছেন, কাঁদিয়ে গেছেন দর্শকদেরও। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যানকে জাতীয় দলের হয়ে রঙিন পোশাকে আর দেখা যাবে না।

২০০৩ সালে ২১ বছর বয়সে জাতীয় দলে অভিষেক হয় ক্লার্কের। দলে সুযোগ পেয়ে ক্রমেই অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেন তিনি। পরে পান অধিনায়কত্বও। ব্যাটসম্যান হিসেবে সাফল্যের ধারা ধরে রাখেন অধিনায়ক হিসেবেও।

ক্লার্কের বিদায়ের মাধ্যমে ব্যাটিং সৌন্দর্যের শেষ প্রতিনিধিরও বিদায় হয়ে গেলো ওয়ানডে থেকে। এই বিশ্বকাপে বিদায় বলে দিয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধেনেও। বিশ্বকাপ মানেই নতুন তারার উত্থান এবং পুরোনো বীরদের বিদায়ের মঞ্চ।

ক্লার্কের বিদায় ও বিশ্বকাপ জয়, অজিদের আনন্দ-বেদনা নিশ্চয় মিলেমিশে একাকার!

ক্লার্কের ওয়ানডে ক্যারিয়ার

ব্যাটিং

বোলিং

আপনি আরো পড়তে পারেন

পঞ্চম বিশ্বকাপ জিতলো অস্ট্রেলিয়া

‘শাস্তি’ পেলেন মুস্তফা কামাল