আইপিএল ফাইনালে হায়দরাবাদের পুঁজি ১৭৮ রান

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) একাদশ আসরের ফাইনালে ১৭৮ রানের পুঁজি পেয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মুম্বাইয়ের ওয়েংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামতে সাকিব আল হাসানদের। তৃতীয় শিরোপা জিততে চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে লক্ষ্য ১৭৯ রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই একটা ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। দলীয় মাত্র ১৩ রানে ওপেনার শ্রিভাটস গোস্বামীকে হারায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়েন শেখর ধাওয়ান ও হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এ জুটিতে বড় রানের ভিত পেয়ে যায় তারা।

দলীয় ৬৪ রানে রবিন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শেখর ধাওয়ান। তিনি ২৬ রান করেন। তৃতীয় উইকেটে উইলিয়ামসনের সঙ্গে জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলা সাকিব এ দিনও ছিলেন সাবলীল।

চার দিয়ে রান শুরু কর সাকিব অবশ্য ১৫ বলে ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি। আউট হওয়ার আগে সাকিবের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়ে যান কেন উইলিয়ামসন। হায়দরাবাদের অধিনায়ক ৪৭ রান করে যান। কর্ন শর্মার বলে স্টাম্পিং হওয়া উইলিয়ামসন তিন রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন। চতুর্থ উইকেটে ৩২ রান যোগ করেন সাকিব ও ইউসুফ পাঠান।

ডোয়াইন ব্রাভোর অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলটস কাভার দিয়ে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে সুরেশ রায়নার হাতে ধরা পড়েন সাকিব। এই উইকেটটা স্রেফ ভাগ্যের জোরে পেয়ে গেছেন ব্রাভো। সাকিব খেলেছিলেন সেরা শটই। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে সুরেশ রায়না ছিলেন অবিশ্বাস্য। দারুণ ক্যাচে সাকিবকে বিদায় করেন তিনি।

১৫ ওভার শেষে হায়দরাবাদের স্কোর দাঁড়ায় ১২৬ রান, তিন উইকেটে। শেষ পাঁচ ওভারে তারা তুলে ৫২ রান। ২৫ বলে ৪৫ রানের ঝড় শেষে অপরাজিত থাকেন ইউসুফ পাঠান।

এবারের আইপিএলে ফাইনালের আগে তিনবার চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হয়েছে হায়দরাবাদ এবং প্রতিবারই হেরেছে তারা। এখন ফাইনালেও যদি হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়, তাহলে এক আইপিএলে একই দলের কাছে টানা চার হারের লজ্জার রেকর্ড হবে হায়দরাবাদের।

কিন্তু পরিস্থিতি বলছে, প্রথম ইনিংস শেষে এগিয়ে থাকছে হায়দরাবাদই। কারণ তাদের বোলিং বিভাগ এবারের আইপিএলের সেরা। লিগ পর্বে তারা তিনটি ম্যাচে ১৫০-এর নিচে রান করে জিতে গেছে। তাদের জন্য ১৭৮ রান তাই যথেষ্টই হওয়ার কথা।

পক্ষান্তরে চেন্নাই যে খুব পিছিয়ে থাকছে, তা কিন্তু নয়। তাদের ব্যাটিং বিভাগও এবারের আইপিএলে যথেষ্ট আলো ছড়িয়েছে। বিশেষ করে আম্বাতি রাইডু, সুরেশ রায়না ও অধিনায়ক এমএস ধোনি ছিলেন অসাধারণ।