এবার সব কিছু সহজ হবে, মনে করেন সাকিব

অধিনায়ক হিসেবে নয়টি টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এর মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচে এসেছে জয়ের গৌরব। বাকি আট ম্যাচে বরণ করতে হয়েছে হারের ভাগ্য। সাকিব সর্বশেষ টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন ২০১১ সালে। সে সময় ব্যর্থ হওয়ার পর তাকে সরিয়ে মুশফিকুর রহিমের কাঁধে দেয়া হয় দায়িত্ব।

ছয় বছর পর আবার সাকিবের উপর ভরসা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার মুশফিককে সরিয়ে সাকিবের কাঁধে দেয়া হয়েছে টেস্ট অধিনায়কত্বের ভার। চার জুলাই, বুধবার থেকেই শুরু হবে অধিনায়ক সাকিবের নতুন অধ্যায়।

যে অধ্যায় শুরুর আগে সাকিব বলেছেন, অধিনায়ক হিসেবে এবার তার পথ চলা আগের চেয়ে সহজ হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের অধিনায়কত্বের দশম টেস্ট শুরুর আগে সাকিব বলেন, ‘কতো বছর অধিনায়ক হয়েছি, ফলাফল কেমন হবে, সত্যি বলতে আমি এ সব নিয়ে খুব একটা ভাবছি না। আমার মনে হয় আগেরবারের চেয়ে এবার সহজ হবে। কারণ এবার দল আগের চেয়ে ভালো।’

সাকিবের ক্রিকেট দর্শন এমনই সহজবোধ্য কিন্তু প্রখর। বাংলাদেশের টেস্ট দলের বেশির ভাগ সদস্য অন্তত পাঁচ বছর ধরে টেস্ট খেলছেন। সাকিব মনে করেন, এর মাধ্যমে দলের বেশির ভাগ সদস্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কঠিনতা ও ভালো করার কৌশল শিখে গেছেন। এখন নিয়মিত ভালো করতে কেবল পরিশ্রম করে যাওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে এবারের সিরিজে মনে রাখার কোনো স্মৃতি পেতে হলে বাংলাদেশকে সত্যিই কঠিন কিছু করে দেখাতে হবে। বিশেষ করে বোলারদের চ্যালেঞ্জ থাকবে নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সাকিবদের সবচেয়ে বড় বিপদ হতে পারে পেস বোলারদের নিয়ে। বাংলাদেশের বর্তমান পেস বোলিং আক্রমণ গত কয়েক বছরের মধ্যে দুর্বলতম। সিরিজ শুরুর আগে সাকিবের কথায় ফুটে উঠলো দলের এই অপূর্ণতার কথা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পেসাররা দেশ ও দেশের বাইরে ব্যর্থ হয়েছে। আমার মনে পড়ে না শেষ কবে আমাদের একজন পেসার টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। আমাদের স্পিনাররা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে ভালো কিছু করতে পারবে। একই দক্ষতা পেসারদেরও দেখাতে হবে।’

তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের অনুপস্থিতিতে যে পেস আক্রমণ নিয়ে সাকিব টেস্ট খেলতে নামছেন, তার উপর খুব বেশি কিছু আশা করা যাচ্ছে না। সাকিবের অধিনায়কত্ব শেষ পর্যন্ত কতোটা সহজ হয়ে উঠবে, তার অনেকটাই নির্ভর করবে পেসারদের পারফর্মের উপর