প্রাইম ব্যাংকের দুই ‘হক’ (এনামুল হক বিজয়, আরিফুল হক) নিজেদের মধ্যে পণ করেছেন কিনা যে জানে! একজন ওপেনিং করতে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নিচ্ছেন। অপরজন মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলে যাচ্ছেন। পরশু শেখ জামালের বিপক্ষে ঝড় তোলার পর আজ আবাহনীর বোলারদেরও কচুকাটা করেছেন আরিফুল। এনামুলের সেঞ্চুরির ধারাবাহিকতা চলছে তিন ম্যাচ ধরে।
১৪ মার্চ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ঠিক ১০০ করা এনামুল শেখ জামালের বিপক্ষে করেছিলেন ১০১। আজ আর এক রান বেশি, আহাবনীর বিপক্ষে ১০২। জাতীয় দলের বাইরে থাকাটা বুঝি আর সহ্য হচ্ছে না দুই ‘হকে’র! এনামুল হক বাংলাদেশের হয়ে পঞ্চাশের বেশি ম্যাচ খেলেছেন (৪টি টেস্ট, ৩৭টি ওয়ানডে, ১৩টি টি-টোয়েন্টি)। এক সময় তামিম ইকবালের নিয়মিত সঙ্গী ছিলেন তিনি। কিন্তু অফ ফর্মের কারণে অনেকদিন ধরে দলের বাইরে।
আরিফুলও বেশ ভালোই সুযোগ পেয়েছেন। একজন পেস অলরাউন্ডার খুঁজতে গিয়ে আরিফুলকে দশটির বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলিয়েছেন বাংলাদেশি টিম ম্যানেজম্যান্ট। কিন্তু সেভাবে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তরুণ অলরাউন্ডার। এসব মনে করেই চলতি লিগে দুজন এক সাথে জ্বলে উঠতে চাইছেন কিনা কে জানে!
এনামুল হক ও আরিফুল হকের দিনে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) তাদের দল প্রাইম ব্যাংক জয় পেয়েছে। উড়তে থাকা আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ১৬ রানে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক। ফতুল্লায় প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রানের সংগ্রহ গড়ে এনামুল-আরিফুলের প্রাইম ব্যাংক।
এনামুল ১২৮ বলে ৫টি চার ২টি ছয়ে ১০২ রান করেন। আর আরিফুল পাঁচে নেমে মাত্র ২৭ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতীয় ব্যাটসম্যান আভিমানু করেছেন ৮৫ রান। পরে জবাব দিতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২৮৬ রানে গুটিয়ে গেছে আবাহনী। দলটির পক্ষে ওয়াসিম জাফর করেছেন ৯৪ রান। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৭৩ রান।
অপর ম্যাচে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ঢাকায় প্রথমে ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান তোলে গাজী গ্রুপ। পরে মাত্র ২৭ রানের মাথায় দুই উইকেট হারালেও মেহেদি মারুফ ও জাকের আলীর সেঞ্চুরিতে ৪৫.৩ ওভারে জয়ের জন্য ২৫৩ রান তুলে ফেলে রূপগঞ্জ। মারুফ ১৩৭ বল খেলে ১২টি চার ৫টি ছক্কায় ১৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। জাকের আলী অপরাজিত ছিলেন ১২৬ বলে ১০৭ রান করে।
এদিকে, মোহাম্মদ আশরাফুলের ফেরার ম্যাচে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দুই ম্যাচ পর একাদশে ফেরা আশরাফুল পাঁচে নেমে ৭৪ বলে ৪৪ রান করেন। মোহামেডানের পক্ষে কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৫২ করেছেন আব্দুল মজিদ। নির্ধারিত ওভারের পাঁচবল আগে মোহামেডান অলআউট হয়ে যায় ২৪০ রানে।
পরে জবাব দিতে নেমে শেষ বলে দুই উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। দলটির পক্ষে ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন করেন ৭৪ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ করেছেন তানভীর হায়দার।