সাংবাদিকদের পাপন: ‘ওসব কথা বলা যাবে না’

পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা যাচ্ছেতাই কেটেছে বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ছিল ৭১ রানের। তারপরও ১৪১ রানেই থেমে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। কিন্তু বাংলাদেশ থেমে যায় ১৩৬ রানেই। ব্যাটিং অর্ডারকে বানিয়ে ফেলা হয়েছিল নাগরদোলার চক্কর। সৌম্য সরকার ব্যাটিং করতে নেমেছেন ছয় নম্বরে, স্পিনার মেহেদি হাসানকে নামিয়ে দেওয়া হয় তিনে। মাহমুদুল্লাহ ব্যাটিংয়ে নেমেছেন পাঁচে। তবে কী পরিকল্পনায় সমস্যা ছিল? নাজমুল হাসান পাপন বললেন, সব কথা বলা যাবে না।

আজ বুধবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তান সিরিজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবি প্রধান। এক প্রশ্নের উত্তরে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেন তিনি, ‘তামিম যখন ছিলো না (ত্রিদেশীয় সিরিজ ও ভারত সিরিজ) গত দুটি সিরিজে, তখন লিটন দাস ও নাইমকে ওপেন করিয়েছি। আবার সৌম্য আছে। যে ওপেন করে। দ্বিতীয় ম্যাচে নাইম আউটের পর- লিটন বা সৌম্যকে না নামিয়ে হঠাৎ করে মেহেদিকে নামানো হয়েছে। আমার মনে হয় না এটা লজিক্যাল। সেটা হলে তিনে লিটনের নামার কথা। চারে যেহেতু মুশফিক নাই, রিয়াদ আসতে পারে। তার অনেক দিনের ইচ্ছা উপরে খেলার; কিন্তু ওকে মনে হয়েছে, পারলে সবার শেষে, শেষ ওভারে ব্যাটিংয়ে নামে। তাদের (ক্রিকেটার) সঙ্গে অনেক কথা বলেছি। সব আপনাদের বলা যাবে না।’

বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘অনেক কিছু আসলে এখনো বুঝতে হবে। খেলোয়াড়, কোচ এবং ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলতে হবে। রিয়াদ, তামিমের সাথে বসেছিলাম। আমার প্রথম প্রশ্ন ছিলো ব্যাটিং এমন খাপছাড়া কেনো? এতো বছর পর পাকিস্তানে আসলাম। ব্যাটিং নিলাম কেনো টস জিতে? আমরা চেজ ভালোই করি। ওরা বলছিলো- এটা ব্যাটিং পিচ, তাই নিয়েছে।। কিন্তু খেলা দেখে তা মনে হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে ওরা বলেছিলো, ১৫০-এর লক্ষ্য। এখন তো ১৮০ মিনিমাম ধরা হয়; কিন্তু ওরা হয়তো মনে করেছে ১৫০-ই যথেষ্ট। এটা কেনো?’

পাপন বললেন, দলের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তগুলো আসলে কে নিচ্ছেন সেটা ঠিক বুঝতে পারছেন না তিনি ‘এই সিরিজে অনেকগেুলো উপলব্ধি হয়েছে আমার। প্রথম উপলব্ধি হলো ১৩০-১৪০ এমনকি ১৫০ রান করেও আজকাল টি-টোয়েন্টিতে জেতা যায় না। আমরা উইকেট চিনতে গিয়ে কিংবা উইকেটের আচরণ বুঝতে গিয়েও ভুল করেছি। আমরা প্রথম ম্যাচ ভেবেছি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। কিন্তু পরে দেখা গেছে উইকেট স্লো। পরের ম্যাচে ব্যাটিং উইকেট ভেবে আগে ব্যাটিং নিয়ে দেখি উইকেট আদর্শ টি-টোয়েন্টির না। আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, আসলে সিদ্ধান্তটা কে নেয়? টস জিতে ব্যাটিং নেবে কি নেবে না, টস জিতলে কি করবে- এসব সিদ্ধান্ত কে নেয় এটা নিয়ে আমি কনফিউজড। ’

বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘রিয়াদ (মাহমুদুল্লাহ) তো এমনিতেই খুব কম কথা বলে, তারপরও আমি তামিম ও রিয়াদের সঙ্গে প্রচুর কথা বলেছি। আমাদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ ছিল অত্যন্ত রক্ষণাত্মক। ব্যাটিং অর্ডারও অবাক করেছে। শেষ দুই তিন ওভারে কেন সৌম্য-রিয়াদ ব্যাটিং করবে। যা বলার ওদেরকে বলেছি। আমি এটাও বলেছি, তুমি ক্যাপ্টেন, কথাতো বলতে হবে তোমাকেই।’