কোহলির সামনে চার রেকর্ডের হাতছানি

গত কয়েক বছর ধরে ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। এ সময়ে ভারতের সর্বাধিনায়ক গড়েছেন অনেক কীর্তি; ভেঙেছেন অসংখ্য রেকর্ড। তা সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হোক কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে। সামনেই আসছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নতুন মৌসুম। ব্যাটসম্যান কোহলির কাছে আসরটা কয়েকটা রেকর্ড ভাঙার ‍উপলক্ষ বয়ে আনতে পারে। এক নজরে সেসব রেকর্ড দেখে নেওয়া যাক:

দু শ ছক্কার হাতছানি: প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নির্দিষ্ট কোনো দলের হয়ে আইপিএলে দু শ ছক্কার দারুণ এক রেকর্ড ডাকছে কোহলিকে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ১৯১টি ছক্কা মেরছেন তিনি। তন্মধ্যে ২০১৬ আইপিএলেই ৩৮টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক।

সবশেষ আসরে কোহলির ছক্কা ছিল ১৩টি। অবশ্য এই প্রতিযোগিতায় কোহলির চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মা ও সুরেশ রায়না। তবে নির্দিষ্ট কোনো দলের হয়ে দু শ ছক্কা নেই কারোরই। এমনকি আইপিএলে সর্বোচ্চ ৩২৬ ছক্কা হাঁকানো ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলেরও নেই।

নয় হাজার রানের মাইলফলক: প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নয় হাজার রানের মাইলফলকের খুব কাছে আছেন কোহলি। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ভারত অধিনায়কের রান এখন ৮ হাজার ৯০০। আইপিএল এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দুই অঙ্গনে কোহলির রানের যোগফল এটা। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর থেকে মোট ৮২টি ম্যাচে ২ হাজার ৭৯৪ রান করেছেন কোহলি। তার ব্যাট থেকে বাকি রান এসেছে আইপিএলে ১৭৭টি ম্যাচ খেলে।

চেন্নাইর বিরুদ্ধে মাইলফলক: আইপিএলে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৮০০ রানের মাইলফলকের সামনে আছেন কোহলি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দলটির বিরুদ্ধে ৭৪৭ রান করেছেন তিনি। চেন্নাইর বিরুদ্ধে কোহলির পর সবচেয়ে বেশি ৭০৫ রান আছে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মার।

নির্দিষ্টি ভেন্যুতে মাইলফলক: টি-টোয়েন্টি সংস্করণে কোহলির প্রিয় ভেন্যু চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে এই ভেন্যুতে ২ হাজার ৭৬২ রান করেছেন কোহলি। কোনো নির্দিষ্ট ভেন্যুতে এত রান নেই আর কোনো ক্রিকেটারের। আর ২৩৮ রান করলে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তিন হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে পারবেন কোহলি। এই ভেন্যুতে ১৬টি হাফসেঞ্চুরি আছে তার। কোহলির পর এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রান এবি ডি ভিলিয়ার্সের (১ হাজার ৯৬০)।