নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে এমসিসি

নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংগঠন মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। প্রথমবারের মতো সংগঠনটির সর্বোচ্চ পদে নিযুক্ত হতে যাচ্ছেন একজন নারী। তিনি ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ক্লারি কনোর। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খবরটি নিশ্চিত করেছে এমসিসি।

আপাতত এমসিসির সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সাঙ্গার উত্তরসূরি হিসেবে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন কনোর। স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি এই নারী সংগঠক।

উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কনোর প্রচারমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি গর্বিত যে এমসিসির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছি। ক্রিকেট আমাকে অনেককিছু দিয়েছে। এখন আমার কাছে চমৎকার একটা সুযোগ এসেছে। এখানে (লর্ডসে) আমি যখন প্রথমবার এসেছিলাম তখন আমার বয়স ছিল মাত্র নয় বছর। ওই সময় ওখানে নারীদের অবাধ প্রবেশ ছিল না। এখন সময় বদলে গেছে।’

কনোর অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবকিছু নিংড়ে দেওয়ার, ‘আমি গর্বিত যে, এমসিসির উন্নয়নের জন্য আমাকে বিবেচনা করা হয়েছে। ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্লাবকে আরো আধুনিক ও ভবিষ্যত সাফল্যের জন্য সব চেষ্টাই করব। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ। ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করতে আমাদের ঐক্যব্ধ থাকতে হবে।’

কার্যত ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) নারী ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন কনোর। ২০০৯ সালে তাকে আজীবন সম্মানসূচক সদস্য পদ দেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। পরে ২০১১ সালে আইসিসি নারী ক্রিকেট কমিটিতে যোগ দেন কনোর। এখনো কটিমিটিতে আছেন তিনি।

এ ছাড়া সাসেক্স ক্রিকেট ক্লাবের পরিচালক ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। ১৯৯৫ সালে ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেক হয় করোনের। অবসরে যাওয়ার আগে দেশের হয়ে ১৬টি টেস্ট, ৯৩টি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৪২ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ। তার নেতৃত্বে ২০০৫ সালে ঐতিহাসিক অ্যাশেজ সিরিজ জিতেছিল ইংল্যান্ড।

এমন একজনকে উত্তরসূরি হিসেবে দেখার জন্য আর তর সইছে না এমসিসির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাঙ্গাকারার। তিনি বলেছেন, ‘আমি রোমাঞ্চিত যে, তিনি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে রাজি হয়েছেন। আশা করছি তার নেতৃত্বে ক্রিকেট বিশ্বায়নে অনেকদূর এগিয়ে যাবেন; এমসিসির উন্নয়নে সহযোগিতা করবেন।’