ইংল্যান্ডে লম্বা সফরটা খুব একটা খারাপ কাটেনি ভারতের। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সফরকারীরা জেতে ১-০ ব্যবধানে। তবে সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ইংলিশরা নিশ্চিত করে ৪-৩ ব্যবধানে। ওই সফরে ভারতীয় দলে ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও সৌরভ গাঙ্গুলির মতো বড় মাপের ক্রিকেটাররা। তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার জোয়াল ছিল রাহুল দ্রাবিড়ের কাঁধে।

dravid sachin and sourav

ভারতের ইংল্যান্ড সফর ঘেঁষেই শুরু হয় প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। স্বাভাবিকভাবেই ইংল্যান্ডেই প্রায় চূড়ান্ত করা হয় ভারতের বিশ্বকাপ দল যেখানে থাকতে চেয়েছিলেন অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার সৌরভ ও শচীন। কিন্তু নির্বাচক ও প্রধান কোচ লালচাঁদ রাজপুতের সঙ্গে আলোচনা করে দুজনেরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ করে দেন অধিনায়ক দ্রাবিড়। সতীর্থদের নিয়ে তিনি সরে দাঁড়ান বিশ্বকাপ থেকে।

বিশ্বকাপে তারুণ্যনির্ভর দল খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে। রোববার এমনই বিস্ফোরক একটা খবর ফাঁস করলেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচ রাজপুত। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজের লাইভে ইন্দ্রনিল বসুকে (চ্যাটে টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ক্রিকবাজের সাংবাদিক) এমনটাই বলেছেন জিম্বাবুয়ের বর্তমান প্রধান কোচ।

২০০৭ বিশ্বকাপ দল নির্বাচন নিয়ে করা ইন্দ্রনিলের প্রশ্নের জবাবে বিশ্বজয়ী ভারতীয় প্রাক্তন কোচ বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এটা সত্যি (দ্রাবিড়ই শচীন এবং সৌরভের বিশ্বকাপ খেলা থামিয়ে দিয়েছে)। রাহুল দ্রাবিড় ইংল্যান্ড সফরে অধিনায়ক ছিল। কয়েকজন খেলোয়াড় তখন ইংল্যান্ড থেকে সরাসরি জোহানেসবার্গে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য) এসেছিল। ওরা (দ্রাবিড়রা) বলছিল চলো তরুণদের একটা সুযোগ দেই।’

lalchand rajput inidian t20wc 2007 winning coach

ধোনির নেতৃত্বাধীন সেই তরুণ দলটাই বাজিমাত করে। বিশ্বকাপ জিতে যায় ভারত। রাজপুত জানান, ওই সময় অনুশোচনায় ভুগতে শুরু করেন ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী শচীন। টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে তিনি দাবি জানান, বিশ্বকাপ স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত খেলে যেতে চান। শচীনের স্বপ্নপূরণ হয় ২০১১ সালে। ঘরের মাঠে ভারত জেতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি।

শচীনের ক্যারিয়ারে অপ্রাপ্তি ছিল কেবল একটা বিশ্বকাপ শিরোপা-ই। তার আক্ষেপ দূর হয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের সৌভাগ্য হয়নি সৌরভ ও দ্রাবিড়ের। আক্ষেপ নিয়ে ২০০৭ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরে যান সৌরভ; পরের বছর টেস্ট ক্রিকেটকেও বিদায় জানান তিনি। তবে শচীন-দ্রাবিড় খেলে গেছেন আরো কয়েক বছর। ২০১১ সালে দ্রাবিড় এবং ২০১২ সালে ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়ান।

সৌরভের টি-টোয়েন্টি সংস্করণের স্বাদ নেওয়া হয়নি। তবে দ্রাবিড়-শচীনের অভিষেক ম্যাচটাই শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল। শচীন ২০০৬ সালে একমাত্র ম্যাচটা খেলেন শচীন। দ্রাবিড় নতুন সংস্করণের স্বাদ পান ২০১১ সালে! পরের বছর ভারতীয় দলকে বিদায় জানান তিনি। ২০১৩ সালে শেষ হয় শচীনের ক্যারিয়ার। ‘লিটল মাস্টার’ খ্যাত এই ব্যাটসম্যানের বিদায়টা চিরস্মরণীয় হয়ে আছে ক্রিকেট ইতিহাসে।

ms dhoni celebrations 2007

বিশ্বের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করেছেন শচীন। সব অর্জনই ম্লান হয়ে যেতে পারতো। যদি না বিশ্বকাপ স্বপ্ন তার পূরণ না হতো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নও তো ভেস্তে দিতে হয়েছিল এ জন্য। এনিয়ে রাজপুত বললেন, ‘ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর শচীন অনুশোচনায় ভুগছিল। ও আমাকে বলেছিল আমি অনেক বছর খেলতে চাই। এখনো আমার বিশ্বকাপ জেতা হয়নি।’

পরবর্তীতে শচীনের বিশ্বকাপ জেতা হয়েছে। শচীন, দ্রাবিড়, সৌরভের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে দাঁড়ানোর সেই বাজিটাও কাজে লেগেছিল। অধিনায়ক ধোনির বয়স তখন ২৬ বছর। অভিজ্ঞদের মধ্যে তিনি ছাড়া দলে ছিলেন বীরেন্দর শেবাগ, হরভজন সিং, যুবরাজ সিং, অজিত আগারকার। বিধ্বংসী ওপেনার রোহিত শর্মা তখন কুড়িতে পা দিয়েছেন। এই তরুণ ব্যাট হাতে পারফর্মও করেছিলেন।

তবে সবচেয়ে বড় চমক ছিল ধোনির নেতৃত্বগুণ। যা আগে থেকেই বোধহয় আঁচ করতে পেরেছিলেন রাজপুত। তার চাওয়াতেই ধোনিকে বিশ্বকাপ অধিনায়ক নির্বাচন করে টিম ম্যানেজমেন্ট। ধোনির প্রতি রাজপুতের মুগ্ধতা এখনো আছে, ‘এমএস ধোনি ছিল সৌরভ গাঙ্গুলি এবং রাহুল দ্রাবিড়ের সংমিশ্রণ। সত্যি ধোনি খুব খুব শান্ত থাকত। মাথা ঠান্ডা করে এগোতে থাকতো। সবসময় ওর ভাবনা ছিল অধিনায়কের মতোই।’

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.