রোহিত তাণ্ডবে উড়ে গেল কলকাতা

নিজের দিনে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন রোহিত শর্মা সেটা আরো একবার বোঝা গেল। বুধবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন ভারতীয় ওপেনার। রোহিত ঝড়ে শেষ পর্যন্ত উড়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স জিতল হেসেখেলেই।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলমান আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল মুম্বাই। কেকেআরকে ৪৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছেন রোহিত অ্যান্ড কোং। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ উইকেটে ১৯৫ রান করে মুম্বাই। জবাব দিতে নেমে নয় উইকেটে ১৪৬ রান তুলতে সক্ষম হয় কেকেআর।

৫৪ বলে ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে থেমেছেন মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত। ইনিংস সাজানো ছিল ছয়টি চার ও তিনটি চারে। রোহিত ঝড়ে অনেকটাই আড়ালে চলে গেছেন সূর্যকুমার যাদব। ২৮ বলে ৪৭ রানে রানআউট হন তিনি। এ ছাড়া সৌরভ তিউয়ারি ২১, হার্দিক পান্ডিয়া ১৮ এবং কাইরেন পোলার্ড ১৩ রান করেছেন।

বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় কলকাতা। ব্যক্তিগত দুই অংক ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার শুভমান গিল ও সুনিল নারিন। এরপর মিডল অর্ডারের খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে পথচলা। তবে হাফসেঞ্চুরি পাননি কেউ। ব্যক্তিগত ত্রিশ ছাড়িয়েছেন দুজন।

২৩ বলে পাঁচ চারে ৩০ রান করেন কলকাতার অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিক। ১৮ বলে ২৪ রান এসেছে নিতিশ রানার ব্যাট থেকে। কুড়ি বলে ১৬ রান করেন ইয়ন মরগান। আন্দ্রে রাসেল ১১ বলে ১১ রান করেছেন। শেষ দিকে ১২ বলে চারটি ছক্কা ও এক চারে ৩৩ রানের ঝড় তোলেন প্যাট কামিন্স।

আন্দ্রে রাসেল

তাদের ক্ষুদ্রক্ষুদ্র এসব ইনিংসের কারণে কিছুটা হলেও কলকাতার হারের ব্যবধান কমে আসে। কেকেআরের পতন হওয়া উইকেটের দুটি করে নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট, জেমস প্যাটিনসন, জাস্প্রিত বুমরাহ ও রাহুল চাহার। অন্য উইকেটটা পোলার্ডের। কলকাতার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শিভাম মাভি নিয়েছেন দুই উইকেট।

পরবর্তী ম্যাচ:

২৬ সেপ্টেম্বর। কলকাতা নাইট রাইডার্স-সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আবুধাবি।

২৮ সেপ্টেম্বর। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু-মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দুবাই।